সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে বিমার আওতায় আনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. মো. মোশাররফ হোসাইন। তিনি বলেছেন, ‘বিমা খাত নিয়ে হতাশার দিক থাকলেও এই খাত ভেতরে ভেতরে অনেক ভালো কাজ করছে।’
রোববার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকাস্থ ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) অডিটোরিয়ামে দৈনিক বাণিজ্য প্রতিদিন আয়োজিত ‘বিমা খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ এবং প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্সের এমডি মো. জালালুল আজিম।
প্যানেল আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. কাজিম উদ্দিন ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমির চিফ ফ্যাকাল্টি মেম্বার এস এম ইব্রাহিম হোসাইন।
আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান ড. মো. মোশাররফ হোসাইন বিমা খাতকে একটি উল্লেখযোগ্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করে বলেন, ‘বিমা খাতকে একটা বিশ্বাসযোগ্য স্থানে দাঁড় করাতে চাই, যেন বিমা খাতের ওপর মানুষের আস্থা তৈরি হয়।’
তিনি বলেন, ‘বিমা খাত সব সময় মানুষের কল্যাণের কথা ভাবে। মানুষ যেন ভালো থাকে, এটাই বিমা খাতের চাওয়া। দেশের সব মানুষ বিমার আওতাভুক্ত হলে এ খাত যেমন এগিয়ে যাবে, তেমনই মানুষও এর দ্বারা উপকৃত হবে।’
এ সময় তিনি বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে বিমা খাতের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আমাদের দেশের অর্থনীতিতে বিমা খাতের অবদান মাত্র ০.৫৭ শতাংশ। ভারতের অর্থনীতিতে তাদের বিমা খাতের অবদান ৩.৬৯, এমনকি ইন্দোনেশিয়াতে বিমা খাতের অবদান ২.৩৬।’
ড. মো. মোশাররফ হোসাইন বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি টেকসই অর্থনৈতিক অবস্থার দিকে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা বিমা খাত নিয়ে তার সমান্তরালে হাঁটতে পারিনি। তবে আমাদের অর্থনীতি সম্ভাবনাময়। আমরা যোগ্যতার সাথে এগিয়ে গেলে দেশের অর্থনীতি অবদান রাখতে পারব।’
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘দেশের সব পেশার সব মানুষকে বিমার আওতায় আনতে বিমা খাতকে আস্থা অর্জন করতে হবে। এই খাতে সমস্যা যেমন আছে, তেমন সম্ভাবনাও আছে। যোগ্য মানুষদেরকে নিয়ে আসতে পারলে, এ খাত এগিয়ে যাবে। বিমা খাতে এমন একটা জায়গা সৃষ্টি করতে হবে যেন মেধাবীরা এই অঙ্গনে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী হয়। তবে বিমা খাত নিয়ে মানুষের মধ্যে অনাস্থা এবং ভুল ধারণা আছে, যা দূর করতে বিমা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে।’