দা এশিয়ান ব্যাংকার পত্রিকা এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ব্যাংকগুলোর উপর মূল্যায়নের ভিত্তিতে ২০১৮ সনের জন্য ৫০০ বৃহত্তম ব্যাংকের একটি তালিকা তৈরি করে। ব্যাংকগুলোকে মূল্যায়নের জন্য ২০টি দেশ ও অঞ্চলকে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাংকগুলোর মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৮.৪ ট্রিলিয়ন ডলার, ঋণ ৩০.৫ ট্রিলিয়ন ডলার, আমানত ৪০.৫ ট্রিলিয়ন ডলার এবং মুনাফা ৪১৬ বিলিয়ন ডলার। শীর্ষ ১০ ব্যাংক অগের মতই অপরিবর্তিত আছে। ব্যতিক্রম হচ্ছে সুমিতোমো মিতসুই ফিনান্সিয়াল গ্রুপ মিজুহো গ্রুপকে ছাড়িয়ে সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে।
চীনা ব্যাংকগুলো শীর্ষ ১৬৩টি ব্যাংকের মধ্যে আধিপত্য বজায় রেখেছে। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ৫০০ টি বৃহত্তম ব্যাংকের সম্মিলিত সম্পদের ৫০.৩ শতাংশ। পূর্বে বছরের জাপানের বৃহত্ত ব্যাংক ছিল ৯৯ টি যা বর্তমানে হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯২টিতে। সিয়াম কমার্শিয়াল ব্যাংক ব্যাংকক থাইল্যান্ডের বৃহত্তম ব্যাংক হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। কাসিকর্নব্যাঙ্ক থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং ব্যাংকক ব্যাংক তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে।
এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় কিছু ব্যাংক তাদের অবস্থান ধরে রাখার জন্য মারাত্নক প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে। জাপানের জনসংখ্যা অব্যাহতভাবে হ্রাস পাওয়া এবং বার্ধক্যের সংখ্যা বৃদ্ধি জনিত কারনে ঋণের চাহিদা হ্রাস পাওয়ার ফলে ব্যাংক অব জাপান বিশেষ করে আঞ্চলিক ব্যাংকগুলো মারাত্নক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। ঋণের স্বল্প সুদের কারণেও ব্যাংকগুলোর মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
১। ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এন্ড কমার্সিয়াল ব্যাংক অব চায়না
ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এন্ড কমার্সিয়াল ব্যাংক অব চায়না প্রতিষ্ঠিত হয ১ জানুয়ারী ১৯৮৪। ব্যাংকটি অক্টোবর ২৭, ২০০৬ এ পুরোপুরিভাবে লিমিটেড কোম্পানী হিসাবে পূনর্গঠিত এবং ষ্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভূক্ত হয়।ব্যাংকটি দা ব্যাংকার পত্রিকার দৃষ্টিতে বিশ্বের ১,০০০ ব্যাংক এবং ফোর্বস ম্যাগাজিনের পরিসংখ্যানে বিশ্বের ২,০০০ ব্যাংকের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে। ব্যাংকটি মূলধনের পরিমান ৩৩৮ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮ সনে ব্যাংকটির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ২,০২৭,৪৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আমানত ৩,১১২,৮০৪ মিলিয়ন ডলার,নীট মুনাফা ২,৩৯৯ মিলিয়ন ডলার। ব্যাংটির অভ্যন্তরীন শাখার সংখ্যা ১৭,০০০ এছাড়া ৪১টি দেশেও শাখা আছে। মোট কর্মকর্তা/কর্মচার ৪,৫৩,৩০০ জন। ব্যাংকটির কর্পোরেট গ্রাহকের সংখ্যা ৫০,৯০,০০০ এবং সাধারণ গ্রাহকের সংখ্যা ৪৬.৫০ কোটি।
২. চীনের চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংক কর্পোশেন
চীনের চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংক কর্পোশেন পূর্বে ১ অক্টোবর ১৯৫৪ পিপলস কনস্ট্রাকশ ব্যাংক অব চায়না নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তিতে ২৬ মার্চ, ১৯৯৬ তারিখে নাম পরিবর্তন হয়ে চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংক কর্পোশেন নাম ধারন করে।এটি বিশ্বের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক এবং ৬ষ্ঠ বৃহত্তম কোম্পানী। ব্যাংকটি মূলধনের পরিমান ২৮৭ বিলিয়ন ডলার। এ ব্যাংকের দেশে এবং বিদেশে মোট ১৩,৬২৯ টি শাখা আছে এবং মোট জনশক্তির সংখ্যা ৩,১০,০০০ জন। ২০১৮ সনে ব্যাংকটির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩,৩৭৬,৫২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আমানত ২,৪৮৭,৫৫৮ মিলিয়ন ডলার,নীট মুনাফা ৩৭,১৬৭ মিলিয়ন ডলার।
৩. এগ্রিকালচার ব্যাংক অব চায়নাঃ
চীনের এগ্রিকালচার ব্যাংক অব চায়না এশিয়ার ৩য়তম বৃহত্তম ব্যাংক। ব্যাংকটি ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যাংকটির ৩ কোটি ২০ লাখ খুচরা গ্রাহক এবং ২১ লক্ষ কর্পোরেট গ্রাহক আছে। এটি এশিয়ার এবং বিশ্বের ৩য়তম বৃহত্তম ব্যাংক। এ ব্যাংকের দেশে এবং বিদেশে মোট ২৪,০০০ টি শাখা আছে এবং মোট জনশক্তির সংখ্যা ৪,৭৪,০০০ জন। ২০১৮ সনে ব্যাংকটির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩,২৮৭,৩৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আমানত ২,৫২২,১০৬ মিলিয়ন ডলার,নীট মুনাফা ২৯,৪৬২মিলিয়ন ডলার।
৪. ব্যাংক অব চায়না
চীনের রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংক ’ব্যাংক অব চায়না’ এশিয়ার ৪র্থ বৃহত্তম ব্যাংক এবং দি ব্যাংকার ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে বিশ্বের ৪র্থতম বৃহত্তম ব্যাংক, ২০১৭ সালে ৩য় তম ছিল। ব্যাংকটি চীনের প্রচীনতম ব্যাংক। এটি ১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যাংকটি মূলধনের পরিমান ২৩০ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাংকটি শাখা ছড়িয়ে আছে। এ ব্যাংকের দেশে এবং বিদেশের শাখার সংখ্যা প্রায় ৪০,০০০ টি এবং মোট জনশক্তির সংখ্যা ৪০ লক্ষ। ২০১৮ সনে ব্যাংকটির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩,০৯২,২০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আমানত ২,১৬৪,০৩৭ মিলিয়ন ডলার,নীট মুনাফা ২৭,৯৮০ মিলিয়ন ডলার।
৫. মিতসুবিশি ইউএফ কে ফাইন্যানসিয়াল গ্রুপ
জাপানের মিতসুবিশি ইউএফ কে ফাইন্যানসিয়াল গ্রুপ এশিয়ার ৫মতম ব্যাংক এবং দি ব্যাংকার ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে বিশ্বের ১০তম বৃহত্তম ব্যাংক। ব্যাংকটি চীনের প্রচীনতম ব্যাংক। এটি এপ্রেল ২, ২০০১ এ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তিতে অক্টোবর ১,২০০২৫ এ মিতসুবিশি টকিও ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপ (MTFG) সাথে মার্জ হয়। ব্যাংকটি মূলধনের পরিমান ১৪৬ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাংকটি শাখা ছড়িয়ে আছে। এ ব্যাংকের দেশে এবং বিদেশের শাখার সংখ্যা প্রায় ১,০৭,০০০ টি এবং মোট জনশক্তির সংখ্যা ১,০৭,০০০। ২০১৮ সনে ব্যাংকটির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ২,৮০৭,৮৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আমানত ১,৭১০,৮৯৯ মিলিয়ন ডলার,নীট মুনাফা ৮,৫৭১ মিলিয়ন ডলার।
৬. জাপান পোস্ট ব্যাংক
জাপানের জাপান পোস্ট ব্যাংক এশিয়ার ৬ষ্ঠতম ব্যাংক। ব্যাংকটি সেপ্টেম্বর ২০০৬ এ প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যাংকটি মূলধনের পরিমান বিলিয়ন ডলার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাংকটি শাখা ছড়িয়ে আছে। এ ব্যাংকের দেশে এবং বিদেশের শাখার সংখ্যা প্রায় ১২,৮০০ টি এবং মোট জনশক্তির সংখ্যা ১৩,০০০। ২০১৮ সনে ব্যাংকটির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১,৮৮৫,৮৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আমানত ১,৬৩৩,৪০১ মিলিয়ন ডলার,নীট মুনাফা ২,৩৯৯ মিলিয়ন ডলার।
৭. সুমিতোম মিতসুবিশি ব্যাংকিং কর্পোরেশন
জাপানের সুমিতোম মিতসুবিশি ব্যাংকিং কর্পোরেশন এশিয়ার ৭মতম ব্যাংক। ব্যাংকটি ডিসেম্বর ২০০২ এ প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যাংকটি মূলধনের পরিমান বিলিয়ন ডলার।এ ব্যাংকের শাখার সংখ্যা প্রায় ৪৪৪ টি এবং মোট জনশক্তির সংখ্যা ২২,৫২৪ জন। ২০১৮ সনে ব্যাংকটির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১,৮৩৭,৯১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আমানত ১,২০৪,৬৭৯ মিলিয়ন ডলার, নীট মুনাফা ৭,১৪৯ মিলিয়ন ডলার।
৮. মিঝু ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপ
জাপানের মিঝু ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপ এশিয়ার বৃহত্তম ৮মতম ব্যাংক। ব্যাংকটি সেপ্টেম্বর ২০০৬ এ প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যাংকটি মূলধনের পরিমান বিলিয়ন ডলার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাংকটি শাখা ছড়িয়ে আছে। এ ব্যাংকের দেশে এবং বিদেশের শাখার সংখ্যা প্রায় ৫৪৩ টি এবং মোট জনশক্তির সংখ্যা ৫৭,০০০ জন। ২০১৮ সনে ব্যাংকটির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১,৮১২,০৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ২০১৭ সালে মোট বৈশ্বিক ব্যাংকিং সম্পদের ভিত্তিতে ১৪ তম।, আমানত ১২,২৪২,২১৩ মিলিয়ন ডলার,নীট মুনাফা ১,০৭২ মিলিয়ন ডলার।
৯. ব্যাংক আব কমিউনিকেশনস লিমিটেড
চীনের ব্যাংক আব কমিউনিকেশনস লিমিটেড এশিয়ার বৃহত্তম ৯মতম ব্যাংক। ব্যাংকটি সেপ্টেম্বর ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। চীনের অন্যান্য ব্যাংকের মধ্যে এ ব্যাংকটি নোট ইস্যু করে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাংকটি শাখা ছড়িয়ে আছে। এ ব্যাংকের দেশে এবং বিদেশের শাখার সংখ্যা প্রায় ৫৪৩ টি এবং মোট জনশক্তির সংখ্যা ৮৮,০০০ জন। ২০১৮ সনে ব্যাংকটির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১,৩৮৫,৮০৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ২০১৭ সালে মোট বৈশ্বিক ব্যাংকিং সম্পদের ভিত্তিতে ১৪ তম।, আমানত ৮,৪২,৩৩৫ মিলিয়ন ডলার,নীট মুনাফা ১০,৮৮৩ মিলিয়ন ডলার।
১০. পোস্টাল সেভিং ব্যাংক অব চায়না
চীনের পোস্টাল সেভিং ব্যাংক অব চায়না এশিয়ার ১০ম এবং বিশ্বের ২২তম বৃহত্তম ব্যাংক। ব্যাংকটি ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। চীনের অন্যান্য ব্যাংকের মধ্যে এ ব্যাংকটি নোট ইস্যু করে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাংকটি ৪০,০০০ শাখা ছড়িয়ে আছে।গ্রাহকের সংখ্যা ৬০ কোটি। এ ব্যাংকের দেশে এবং বিদেশের শাখার সংখ্যা প্রায় ১,৭১,০০০ জন। ২০১৮ সনে ব্যাংকটির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১,৩৮৩,৬৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ২০১৭ সালে মোট বৈশ্বিক ব্যাংকিং সম্পদের ভিত্তিতে ১৪ তম।, আমানত ১,২৫৪,৪০৮ মিলিয়ন ডলার,নীট মুনাফা ৭,৬১৬ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশঃ দা এশিয়ান ব্যাংকার পত্রিকা বাংলাদেশের ৩টি ব্যাংকে শীর্ষ ৫০০ ব্যাংকের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছে।
সোনালী ব্যাংক লিঃ
সোনালী ব্যাংক এশিয়ার ৩৫৫ তম ব্যাংক। ১৯৭২ সালের স্বাধীনতাত্তোর রাষ্ট্রপতির আদেশ ২৬/৭২ অনুযায়ী রাষ্ট্রায়াত্ব সোনালী ব্যাংক গঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৫ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে কর্পোরেটাইজড করার মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এ রূপান্তরিত করা হয়েছে। মার্চ ২০১৯ পর্যন্ত ব্যাংকটির মোট শাখা ১২১৩টি। ব্যাংকটির মোট জনসংখ্যার সংখ্যা ২১,৮৩৯ জন। ২০১৮ সনে ব্যাংকটির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৫,০৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।আমানত ১২,৯৫৩ মিলিয়ন ডলার,নীট মুনাফা ২৮ মিলিয়ন ডলার।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ এশিয়ার ৪০৩ তম বৃহত্তম ব্যাংক । ১৯৮৩ সালের ৩০ মার্চ ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার সময় দেশীয় উদ্যোক্তাগণ শতকরা ২১.৭ ভাগ এবং বিদেশী উদ্যোক্তাগণ শতকরা ৭৮.৩ ভাগ যোগান দেন। ২০১৮ সালে ব্যাংকটির আমানত ৯,৮০৫ মিলিয়ন ডলার, সম্পদের পরিমাণ ১১,৫২৮ মিলিয়ন ডলার, নীট মুনাফা ৭৬ মিলিয়ন ডলার।ব্যাংকটির শাখার সংখ্যা ৩৫০টি, গ্রাহকের সংখ্যা ১ কোটি ২০ লাখ এবং মোট জনশক্তির সংখ্যা প্রায় ১৫,০০০।
জনতা ব্যাংক লিঃ
জনতা ব্যাংক লিঃ এশিয়ার ৪১৯ তম বৃহত্তম তম ব্যাংক। ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রায়াত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়হয়। পরবর্তীতে ১৫ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে কর্পোরেটাইজড করার মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এ রূপান্তরিত করা হয়েছে। মার্চ ২০১৯ পর্যন্ত ব্যাংকটির মোট শাখা ৯১৩টি। ব্যাংকটির মোট জনসংখ্যার সংখ্যা ১৫,৭০০ জন। ২০১৮ সনে ব্যাংকটির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৮,০৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।আমানত ৯,৯৮৫ মিলিয়ন ডলার,নীট মুনাফা ২ মিলিয়ন ডলার।