আজ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সনের শেষ দিন। ব্যাংকাররা আজকের ছুটির দিনেও ব্যস্ত বছর শেষের লাভ লোকসান বের করতে। একটু পর্যালোচনা করে দেখি, কেমন কাটল ব্যাংকারদের জন্য ২০২১ সাল।
খেলাপি ঋণ
করোনার প্রভাবে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে। ব্যাংকগুলোর মৌলিক আয়ের উপকরণ সুদ থেকে কমেছে আয়, বেড়েছে ব্যয়। মূলধন ঘাটতি বেড়ে গেছে। ব্যাংকগুলোর সম্পদ বা ঋণ থেকে আয় কমেছে। বড় ঘাটতি আছে সুশাসনেও। সবমিলিয়ে করোনার প্রভাবে ঝুঁকিতে পড়েছে ব্যাংক খাত। বিদ্যমান সমস্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের করণীয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছে আইএমএফ। এমন কি কিছু ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সময়সীমাও জানতে চেয়েছে সংস্থাটি।
মহামারি করোনায় সৃষ্ট অর্থনীতির সংকট মোকাবিলায় ২০২০ সালজুড়ে ঋণের কিস্তির এক টাকা শোধ না করলেও গ্রাহককে খেলাপি করতে পারেনি ব্যাংক। ফলে কাগজে-কলমে কমে যায় খেলাপিঋণ। দেশের ব্যাংক খাতে প্রকৃত খেলাপি ঋণ কত? এ নিয়ে আছে ধোঁয়াশা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতের ঋণ স্থিতি ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা খেলাপি হয়ে পড়েছে। যা বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ১২ শতাংশ। করোনার শুরুর বছর ২০২০-এর ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সে হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১২ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা। যদিও প্রকৃত খেলাপি ঋণ আরও অনেক বেশি।করোনা মহামারিতে অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় গত বছর ঋণ গ্রহীতারা কোনো টাকা পরিশোধ না করলেও তাকে খেলাপি দেখাতে পারেনি ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ পরিশোধে এক রকম ছাড় দিয়েছে। ফলে খেলাপির যোগ্য ঋণও খেলাপি হচ্ছে না। এরপরও খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইএমএফ।
দুর্বল ২৫ ব্যাংক
সীমাতিরিক্ত খেলাপি ঋণের কারণে দেশের ৬০ ব্যাংকের মধ্যে ২৫টি ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ৫টি ব্যাংক রয়েছে বড় ঝুঁকির মধ্যে। এদের খেলাপি ঋণের হার বেশি হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ বেড়ে গেছে।
১৫ শতাংশ পরিশোধে খেলাপি হবে না
ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে আবারো ঋণ পরিশোধে কিছুটা ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২১ সালের মধ্যে যেকোনো ঋণগ্রহীতা প্রদেয় কিস্তির ১৫ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করলেই খেলাপি হওয়া থেকে নিষ্কৃতি পাবেন। যদিও এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছিল, চলতি বছরে সিএসএমই খাত ছাড়া অন্য সব খাতের ঋণগ্রহীতাদের প্রদেয় কিস্তির ন্যূনতম ২৫ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের বিপরীতে এর আগের নির্দেশনা অনুযায়ী ২ শতাংশ অতিরিক্ত সাধারণ সঞ্চিতি বা প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।
অন্যদিকে, ১৫ শতাংশ পরিশোধ করলে খেলাপি হবে না—এই সুবিধা সিএমএসএমই খাতও। তবে এ ক্ষেত্রে দেড় শতাংশ অতিরিক্ত নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে হবে।
প্রণোদনা প্যাকেজের অনিয়ম
করোনাকালে সংকট উত্তরণে সরকার বিভিন্ন খাতে মোটা অঙ্কের প্রণোদনা ঋণ দেয়। এখন পর্যন্ত ২৩টি প্যাকেজের আওতায় দুই দফায় আড়াই লাখ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ঋণনির্ভর প্রণোদনা প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা। মহামারিতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের এ প্যাকেজ নিয়েও অনিয়ম, ঋণজালিয়াতি ও বেআইনিভাবে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের অভিযোগ ওঠে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্থ শিল্প ও সেবা খাতে চলতি মূলধন ঋণ হিসাবে প্রথম মেয়াদে ৪০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল। এর বাস্তবায়ন হার ছিল ৮১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। উল্লিখিত খাতে দ্বিতীয় মেয়াদেও ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা করা হয়। ১ জুলাই থেকে প্যাকেজ বাস্তবায়ন শুরু হলেও সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ খাতে বিতরণ হয়েছে মাত্র ৫১৯ কোটি টাকা, যা ঘোষিত প্যাকেজের ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য চলতি মূলধন ঋণ হিসাবে ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণ সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় মেয়াদে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিতরণ হয়েছে মাত্র ৪৭৭ কোটি টাকা, যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
অস্থির ছিল ডলারের বাজার
বছরজুড়েই অস্থির ছিল ডলারের বাজার। বাড়তি চাহিদার কারণে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে মার্কিন ডলারের দাম। মান হারায় দেশীয় মুদ্রা ‘টাকা’। ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বড় ধরনের আমদানি-ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে ডলারের সংকট শুরু হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০ ডিসেম্বর ব্যাংকগুলোর নিজেদের মধ্যে লেনদেনের জন্য প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য দাঁড়ায় ৮৫ টাকা ৮০ পয়সায়। তবে খোলাবাজার ও নগদ মূল্যে তা আরও বেশি দাঁড়ায়। যারা ভ্রমণ করতে বিদেশে যাচ্ছেন তাদের ৯০ থেকে ৯২ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে ডলার। এমন পরিস্থিতিতে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ২০৩ কোটি ২০ লাখ অর্থাৎ ২০৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
শাখা খোলার হিড়িক
ব্যাংক খাতে সাধারণত ডিসেম্বরেই শাখা খোলার হিড়িক পড়ে। প্রতিবছর ব্যাংকগুলো মোট ৩০০ থেকে ৩৫০টি নতুন শাখা চালু করে। এর মধ্যে এক শর বেশি শাখা খোলা হয় শুধু ডিসেম্বর মাসে। যেমন করোনা শুরুর বছর ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ব্যাংকগুলো মোট ১২৪টি নতুন শাখা চালু করেছিল। আগের বছর ২০১৯ সালের একই মাসে নতুন শাখা খোলা হয়েছিল ১১১টি। আর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে খোলা হয়েছিল ৭৪টি শাখা। এবারেও ডিসেম্বরে এসে প্রচুর শাখা খুলছে ব্যাংকগুলো।
২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোর মোট শাখা ছিল ১০ হাজার ৭৫২টি, যা গত জুনে বেড়ে হয় ১০ হাজার ৭৯৩টি। আর সেপ্টেম্বর শেষে শাখার সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ হাজার ৮০৮টি। চলতি মাস শেষে তা ১০ হাজার ৯০০ ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করেন ব্যাংকাররা।
রেমিট্যান্সের উত্থান-পতন
করোনার আগে স্বাভাবিক সময়ে প্রবাসীরা বিদেশ থেকে প্রতি মাসে ১৪০ থেকে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার পাঠাতেন। কিন্তু করোনা শুরু হওয়ার পর রেমিট্যান্স তথা প্রবাসী আয়ের পরিমাণ বেশ বৃদ্ধি পায়। এক মাসে প্রবাসী আয় বেড়ে প্রায় ২৬০ কোটি ডলারে উঠে যায়।
কিন্তু পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হয়ে আসছিল এবং বৈশ্বিক যোগাযোগ গতি পাচ্ছিল, তখন আবার প্রবাসী আয়ে পতন ঘটতে শুরু করে। এ ধারা টানা ছয় মাস ধরে চলছে, অর্থাৎ আয় কমছে। এমনকি সর্বশেষ নভেম্বর মাসে যে প্রবাসী আয় এসেছে, তা বিগত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সব মিলিয়ে শেষ হতে যাওয়া ২০২১ সালকে প্রবাসী আয়ের উত্থান ও পতনের বছর বলে আখ্যায়িত করেছেন ব্যাংকাররা।
মূলধন সংরক্ষণে ব্যর্থ ১১ ব্যাংক
ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে প্রয়োজনীয় মূলধন সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে ১১ ব্যাংক। এর মধ্যে সরকারি খাতের সাতটি ও বেসরকারি খাতের চারটি। গত সেপ্টেম্বর শেষে এসব ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯১০ কোটি টাকা। এ সময়ে ব্যাংকিং খাতে মূলধন সংরক্ষণের হারও (সিআরএআর) কমেছে। তিন মাস আগে এসব ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ছিল ২৫ হাজার ৩৮৫ টাকা। এ হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে মূলধন ঘাটতি বেড়েছে প্রায় দুই হাজার ৫২৫ কোটি টাকা।
নিষ্ক্রিয় ব্যাংক হিসাব চালু করতে লাগবে না মাশুল
ব্যাংকের নিষ্ক্রিয় হিসাব চালু করতে এখন থেকে কোনো মাশুল আদায় করতে পারবে না ব্যাংকগুলো। পাশাপাশি কোনো সঞ্চয়ী ব্যাংক হিসাবে একটানা ১৮ মাস কোনো লেনদেন না হলে তা ডরমেন্ট বা নিষ্ক্রিয় হিসাব হিসেবে চিহ্নিত হবে। তবে চলতি আমানত হিসাব এবং বিশেষ নোটিশ আমানত হিসাবের (এসএনডি) ক্ষেত্রে ৬ মাস লেনদেন না হলে ওই হিসাব নিষ্ক্রিয় হিসেবে বিবেচিত হবে।
ব্যাংকারদের চাকরির সুরক্ষা
করোনার মধ্যে চাকরি হারান অনেক ব্যাংকার। তবে চলতি বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাকরিচ্যুত করা ব্যাংকারদের কাজে ফেরাতে নির্দেশ দেন।
বছরজুড়ে আলোচনায় ন্যাশনাল ব্যাংক
ন্যাশনাল ব্যাংকের বিভিন্ন অনিয়ম ছিল আলোচনায়। এ জন্য ব্যাংকটির ঋণ বিতরণও বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আর সিকদার পরিবারের ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির সূত্র ধরে ব্যাংকটির এমডিকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়।
নন ব্যাংকের নাজুক অবস্থা
ঋণ অনিয়মসহ বিভিন্ন কারণে আর্থিক দুরবস্থায় পড়েছে বেশির ভাগ নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই)। এসব প্রতিষ্ঠানের অবস্থা এতই নাজুক যে, তারা গ্রাহকের আমানতের টাকা পর্যন্ত ফেরত দিতে পারছে না। অনিয়মের মাধ্যমে ঋণের নামে সাধারণ আমানতকারীদের অর্থ বের করে নেওয়া হয়েছে। অত্যন্ত নাজুক এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক 'রেড জোন' হিসেবে চিহ্নিত করে বিশেষ তদারকিতে রেখেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষ করে মন্দ ঋণ এই খাতের পরিস্থিতিকে এমনভাবে প্রভাবিত করেছে যে, এটি গত এক দশকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে। কোভিড মহামারির মধ্যে সরকারি এবং বেসরকারি মিলে ৩৪ এনবিএফআই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫টি ছাড়া বাকিগুলো মারাতœক সংকটের মধ্যে আছে। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি পি কে হালদার ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, পিপলস লিজিং, এফএএস ফাইন্যান্স ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) থেকে অন্তত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে পিপলস লিজিং অবসায়নের জন্য অবসায়ক নিয়োগ করা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও বিআইএফসিতে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছেন আদালত। বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠান আমানতকারীদের অর্থ ফেরত না দিতে পেরে চরম সংকটময় পরিস্থিতিতে রয়েছে। এ ছাড়া ফার্স্ট ফাইন্যান্স এবং ফারইস্ট ফাইন্যান্সে মন্দ ঋণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে, যা এই খাতের সামগ্রিক আর্থিক স্বাস্থ্যের অবনতি মনে করা হচ্ছে।
শ্রলংকাকে ঋণ প্রদান
ব্যাংকিং খাতে অনেক হতাশার মধ্যেও আশার খবরও আছে। এক সময় ঋণ পেতে মরিয়া ছিল বাংলাদেশ। দিন বদলে গেছে। এখন অন্য দেশকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। সরকার বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কাকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এর মধ্যে আগস্টে পাঁচ কোটি ডলার ছাড় করে বাংলাদেশ ব্যাংক। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪২৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাধীনে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে এ অর্থ দেওয়া হয়। এ ঋণছাড়ের মাধ্যমে প্রথম কোনো দেশকে ঋণ দিল বাংলাদেশ।