ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিতে সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা কমিটি।
ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকার অনুমোদনসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এফডিএ ও তার উপদেষ্টা কমিটি ১০ ডিসেম্বর দীর্ঘ সভা করে।
সভার পর জানানো হয়, বিশেষজ্ঞ কমিটির ১৭ সদস্য করোনা প্রতিরোধে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার জরুরি অনুমোদনের সুপারিশের পক্ষে ভোট দেন। কমিটির ৪ জন সদস্য ভোট দেন বিপক্ষে। আর একজন ভোট দানে বিরত থাকেন।
বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ গ্রহণ বা বর্জনের ক্ষমতা রাখে এফডিএ কর্তৃপক্ষ।সিএনএনসহ বিভিন্ন মার্কিন সংবাদমাধ্যম বৃহস্পতিবার ‘ব্রেকিং নিউজ’ হিসেবে সংবাদটি পরিবেশন করে।
সভার পরপরই টিকা দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হবে বলে মনে করার কারণ নেই বলে জানানো হয়েছে। এখন এফডিএকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে, বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে কি না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, এফডিএ আভাস দিয়েছে, টিকাটি জরুরি ব্যবহারের জন্য তারা অনুমতি দিতে পারে। তবে এমন অনুমোদনের জন্য আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে।
এফডিএর চূড়ান্ত সম্মতির পর সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) ও প্রিভেনশন অ্যাডভাইজারি কমিটিকে (এসিআইপি) টিকাটি আমেরিকার জনগণের ওপর ব্যবহারের অনুমোদন দিতে হবে।
সিডিসি ও এসিআইপির আজ (১১ ডিসেম্বর) এ নিয়ে সভা করার কথা রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী রোববার পরবর্তী সভার পর টিকাটি অনুমোদন পেতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ-সংক্রান্ত টাস্কফোর্স ‘অপারেশন র্যাপ আপ’ থেকে জানানো হয়েছে, অনুমোদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তারা টিকা বিতরণ শুরু করে দেবে।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য ২ ডিসেম্বর মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজারের টিকা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। ফাইজারের এই টিকা উদ্ভাবনে সহযোগিতা করেছে জার্মানির প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক। টিকাটি অনুমোদনের পর ৮ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যজুড়ে গণহারে প্রয়োগ শুরু হয়।
যুক্তরাজ্যের পর বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার জরুরি অনুমোদন দিয়েছে বাহরাইন। এ ছাড়া কানাডা ও সৌদি আরবও এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে।
ফাইজার-বায়োএনটেকের দাবি, তাদের উদ্ভাবিত করোনার টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর।