ঢাকা শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
খোলা বাজারে ট্রেজারি বিল-বন্ডের লেনদেন বেড়েছে প্রায় দেড় গুণ
  • ব্যাংকবীমাবিডি
  • ২০২১-০২-০৮ ২০:৩০:২৩

দেশের আর্থিক বাজারে নির্ধারিত আয়ের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি সরকারি ঋণপত্রের বেচাকেনা চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) প্রথমার্ধে বিগত অর্থবছরের (২০১৯-২০) একই সময়ের তুলনায় প্রায় দেড় গুণ বেড়েছে।

সরকারি স্বল্পমেয়াদি ঋণপত্র হলো ট্রেজারি বিল আর দীর্ঘমেয়াদি ঋণপত্র হলো ট্রেজারি বন্ড। আর এগুলো বাজারে অবাধে হাতবদল বা লেনদেনযোগ্য।

আর্থিক বাজারে চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯২ হাজার ৩৮৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের প্রথমার্ধে এর ‍পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৭১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। প্রাথমিকবাজারের পর দ্বিতীয়স্তরের বাজারে বা সেকেন্ডারি মার্কেটে যে কেনাবেচা হয়, এটা সেই লেনদেনের হিসেব।

বাজারে ছাড়ার পর বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানতো বটেই, এমনকি ব্যক্তিও এতে বিনিয়োগ করতে পারে বলে এগুলোকে বাজারমুখী বা অবাধে ক্রয়-বিক্রয়যোগ্য ঋণপত্র বলে অভিহিত করা হয়।

করোনাভাইরাসজনিত কারণে ব্যবসা বাণিজ্যের শ্লথগতিতে ব্যাংক ও আরথিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি ঋণপত্রে বিনিয়োগ ও এগুলোর কেনাবেচা থেকে কিছু মুনাফা তোলার চেষ্টা করায় লেনদেন বেড়ে গেছে বলে ধারণা করা হয়।

তবে বিকিকিনি বেড়ে যাওয়ায় বিল ও বন্ডের ইল্ড নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। যেমন, জুলাই মাসে ৩৬৪-দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় ইল্ড ছিল ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ যা ডিসেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নেমে এসেছে এক দশমিক ৯১ শতাংশে। আবার জুলাই মাসে ১০-বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের গড় ইল্ড ছিল ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ যা ডিসেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

আবার পঞ্জিকা বছর বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, ২০২০ সালে খোলা বাজারে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের লেনদেন মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা। তার আগের বছর মানে ২০১৯ সালে এই লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৬ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ খোলা বাজার নির্ধারিত আয়ের সরকারি এসব ঋণপত্রের মোট বেচাকেনা  এক বছরে বেড়েছে

বর্তমানে ৯১-দিন, ১৮২-দিন ও ৩৬৪-দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিল এবং দুই, পাঁচ, ১০, ১৫ ও ২০ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ড চালু রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে সরকার স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘেমেয়াদি ঋণ নিয়ে থাকে।

সরকারের আরো কিছু নির্ধারিত আয়-ভিত্তিক ঋণপত্র আছে যেগুলো খোলা বাজারে লেনদেন করা যায় না। এগুলো হলো : চার ধরণের সঞ্চয়পত্র, প্রাইজবন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম ও সঞ্চয় বন্ড, ওয়েজ আরনারস বন্ড ও বিশেষ ট্রেজারি বন্ড। এগুলোর মধ্যে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সরকার সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়ে থাকে এবং এজন্য উচ্চহারে সুদ গুণতে হয়।

বর্তমানে সঞ্চয়পত্রের স্থিতি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপির) প্রায় সাড়ে ১১ শতাংশ। আর বিভিন্ন মেয়াদি ট্রেজারি বিল ও বন্ডের স্থিতি প্রায় জিডিপির প্রায় আট শতাংশ।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এক পরিবার থেকে দুজনের বেশি পরিচালক নয়
ফুটবল খেলায় অংশ নেওয়া ব্যাংকারদের ‘বিশেষ বোনাস’ দেয়ার আহ্বান এবিবির
ব্যাংকের চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তারা অবসরকালীন সুবিধা পাবেন না