ঢাকা শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বিএইচবিএফসি’র আলোচনা সভা
  • ব্যাংকবীমাবিডি
  • ২০২১-০১-২৫ ০৪:৫৮:৪৪

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা করেছে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনের (বিএইচবিএফসি) বঙ্গবন্ধু পরিষদ। গত ২৪ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে তিনটায় এ সভা হয়।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু পরিষদ বিএইচবিএফসি শাখার সভাপতি জনাব তারেক ইমতিয়াজ খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বিএইচবিএফসি’র চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাঙালি জাতির কাছে ছিল একটি বড় প্রেরণা। দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ তিতীক্ষা, আন্দোলন ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তুলে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতি ছিল অপরিহার্য। ১০ জানুয়ারি বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি চির স্মরণীয় দিন। এ দিনকে বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে আনন্দের দিন বলা হলেও অত্যুক্তি হবে না।’

তিনি বঙ্গবন্ধুর ২০ মিনিটের ঐতিহাসিক ভাষণটি খুব সুনিপুণভাবে বিশ্লেষণ করে বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে কিভাবে গঠন করতে হবে, কোন আদর্শ ও চেতনায় দেশ পরিচালিত হবে সেই বিষয়েও বঙ্গবন্ধুর সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা ছিল। সেদিন বঙ্গবন্ধু সশ্রদ্ধ চিত্তে সবার ত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং সবাইকে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।’

‘জাতির পিতা যে অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত ও উন্নত সোনার বাংলা বিনির্মানের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে চারটি কর্মযজ্ঞ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে তা হলো (১) নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ। (২) ১১ লাখ বাস্তুহারা রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরা। (৩) মানবতা বিরোধী অপরাধে বিচার করে দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। (৪) সম্প্রতি কোভিড-১৯ মহামারিকে সফলভাবে মোকাবিলা করা।’

পরিশেষে সেলিম উদ্দিন সবাইকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত সকল কর্মসূচী বাস্তবায়নে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান এবং এ ধরণের একটি মহতী অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় বিএইচবিএফসিরবঙ্গবন্ধু পরিষদকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিঃ দায়িত্ব) অরুন কুমার চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে এখনো আমাদের অনেক গবেষণার প্রয়োজন।’

শুধুমাত্র দিবস পালনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দারিদ্রমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

অরুন কুমার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অন্যতম দর্শন ছিল বাংলায় কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ৭০ হাজার বাস্তুচ্যুত ও গৃহহীন মানুষকে এক সঙ্গে একইদিনে নতুন বাড়ি উপহার দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীর ইতিহাসে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। বাংলাদেশের একটি মানুষও যেন গৃহহীন ও ভূমিহীন না থাকে এবং সবার জন্য হবে মানসম্মত বাসস্থান- প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বান বাস্তবায়নে বিএইচবিএফসি’র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিএইচবিএফসি পরিবারের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অনুরোধ জানান তিনি।

বিশেষ অতিথি শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন ও আব্দুল মতিন ভূইয়া ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এবং ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন জাতির জন্য সমান গুরুত্ব বহন করে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এর মধ্যে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। ১৯৮১ সালে দেশ যখন স্বৈরাচার, স্বাধীনতা বিরোধী ও দুর্নীতিতে নিমজ্জিত সেই সময় বঙ্গবন্ধু কন্যা নিঃস্ব ও রিক্ত হাতে এ দেশে ফিরে এসে দীর্ঘ ২১ বছর আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে জাতিকে সঠিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তার নেতৃত্বে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।’

ভার্চুয়াল সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএইচবিএফসি’র বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খাইরুল ইসলাম, অফিসার কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিঃ প্রিন্সিপাল অফিসার ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ও প্রিন্সিপাল অফিসার এনামুল হক, সভাপতি ও সিঃ প্রিন্সিপাল অফিসার তারেক ইমতিয়াজ খান এবং বঙ্গমাতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র অফিসার আবু সাঈদ।

এছাড়া, সভাটি পরিচালনা করেন বিএইচবিএফসি’র বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক জনাব আনন্দ কুমার ঘোষ। সভায় বিএইচবিএফসি’র সদর দপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অংশ নেন।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যর্থ হলে আমানতকারীরা সর্ব্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন
বিএইচবিএফসির শহীদ দিবস পালন
ঋণের দুই শতাংশ পরিশোধে খেলাপি মুক্তি