ঢাকা শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
শেয়ারদরে ব্যাপক অস্থিরতা
  • ব্যাংকবীমাবিডি
  • ২০২১-০১-১৮ ২১:২৯:৪১

গতকাল সোমবার দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনে বেশ অস্থিরতা দেখা গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে দাম অনেক বেড়েছিল এমন অনেক কোম্পানির শেয়ার ঘিরে অস্থিরতা ছিল বেশি। মুনাফা তুলে নিতে অনেক বিনিয়োগকারীর শেয়ার বিক্রি এবং করোনাভাইরাস টিকার কার্যকারিতাসহ এ-সংক্রান্ত নানামুখী খবরের প্রভাব ছিল লেনদেনে।

তবে হঠাৎ বৃদ্ধির পর এ ধরনের অস্থিরতা স্বাভাবিক বলে মনে করছেন ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তারা জানান, উত্থানের পর কিছুটা দর সংশোধন হবেই। বরং টানা বৃদ্ধি হলে ঝুঁকি বাড়ে। কিছু বিনিয়োগকারী মনে করছেন, যেসব শেয়ারের দর গত কয়েকদিন বেড়েছে, তা আরও বাড়তে পারে। অন্যদিকে যারা ইতোমধ্যে বিনিয়োগ করে লাভে আছেন, তাদের একটি অংশ শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নিচ্ছেন। এর প্রভাবে শেয়ারদর খুব বেশি ওঠানামা করছে।

বৃহৎ মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরের ওঠানামার কারণে মূল্য সূচকের বড় উত্থান-পতন হয়। সকাল সোয়া ১০টায় ডিএসইএক্স সূচক রোববারের তুলনায় ২৪ পয়েন্ট বেড়ে ৫৮৭৪ পয়েন্ট ছাড়ায়। তবে দুপুর ১২টায় সূচকটি দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ১৫০ পয়েন্ট হারিয়ে ৫৭২৫ পয়েন্টে নামে। যদিও দুপুর আড়াইটায় ৪৮ পয়েন্ট হারিয়ে থামে ৫৮০১ পয়েন্টে।

বাজার পর্যবেক্ষণকারী কর্মকর্তারা জানান, সোমবার লেনদেনের প্রায় পুরো সময় একাধিক পক্ষ রবিসহ বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দরপতন ঠেকাতে প্রাণান্ত চেষ্টা করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত রবির শেয়ারের দরপতন ঘটে। অন্যদিকে বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসহ বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

দেখা গেছে, রোববারের পর গতকালও বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, সামিট পাওয়ার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, লাফার্জ-হোলসিম সিমেন্টসহ বৃহৎ মূলধনি কোম্পানির শেয়ারের দর ওঠানামা ছিল চোখে পড়ার মতো। একাধিক দফায় মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবির শেয়ারের ক্রেতা শূন্য অবস্থা তৈরি হয়।

ছয় টাকা করে দর হারিয়ে রবির শেয়ার সর্বশেষ ৫৮ টাকা ৫০ পয়সায় কেনাবেচা হয়। দরপতনের হার প্রায় ১০ শতাংশ। বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার শুরুতে ৬ টাকা ৮০ পয়সা দর হারিয়ে ৭০ টাকা ৯০ পয়সায় নামে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রোববারের তুলনায় ৯০ পয়সা বেড়ে লেনদেন হয় ৭৯ টাকা ৬০ পয়সায়। লংকাবাংলার শেয়ার ২ টাকা ২০ পয়সা দর হারালেও শেষে ১ টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে ৪৩ টাকা ৭০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে। বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারদরও আড়াই টাকা করে বেড়ে সর্বশেষ ১৮৯ টাকায় কেনাবেচা হয়। তবে সামিট পাওয়ারের ২ টাকা ৩০ পয়সা, সিটি ব্যাংকের ২ টাকা ২০ পয়সা, লাফার্জ-হোলসিমের ২ টাকা ৮০ পয়সা এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ৩৩ টাকা ১০ পয়সা দর কমেছে।

খাতওয়ারি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দরপতন থেকে গতকাল কোনো খাতই রক্ষা পায়নি। গড়ে এক থেকে দেড় শতাংশ পর্যন্ত দর হারিয়েছে ব্যাংক, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক ও পাট খাত। তবে সোয়া ২ শতাংশ হারে দর হারিয়েছে বিবিধ খাতের ১৩ কোম্পানি। সার্বিক হিসাবে ডিএসইতে ২২২ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর কমার বিপরীতে ৬২টির দর বেড়েছে এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭২টির দর।

শীর্ষ ডিলার ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ
প্রাইমারি ডিলার হিসেবে অনুমোদন পেল রূপালী ব্যাংক
হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ড ইস্যু করবে আইসিবি