আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সুইফট পেমেন্ট নেটওয়ার্ক থেকে রাশিয়া ও বেলারুশের কিছু ব্যাংককে বিচ্ছিন্ন করছে পশ্চিমা দেশগুলো। যা আজ শনিবার থেকে কার্যকর হবে। এর ফলে এই দুই দেশের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো আর সরাসরি লেনদেন করতে পারবে না।
রাশিয়ার ১২টি ও বেলারুশের ২টি ব্যাংকের মধ্যে ১টি ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অর্থ লেনদেন হতো। ব্যাংক ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ফরেন ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স (ভিইবি) নামে রাশিয়ার ওই ব্যাংক কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংককে সুইফট ব্যবস্থার মাধ্যমে পাঠানো একটি বার্তায় আপাতত তাদের সঙ্গে লেনদেন করতে নিষেধ করেছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা অন্যান্য ব্যাংকের কাছ থেকেও বাংলাদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে এমন বার্তা এসেছে।
তবে এতে দেশের অর্থনীতিতে বড় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, বাংলাদেশ রাশিয়ায় যে পণ্য রপ্তানি করে, তার প্রায় ৮০ ভাগের আর্থিক লেনদেন হয় সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের ব্যাংকের মাধ্যমে। তবে সরকারি প্রকল্পের হাল কী হবে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে।
রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় রূপপুর প্রকল্পের বাস্তবায়ন হচ্ছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হওয়ার কথা। এই প্রকল্পে ৯১ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে রাশিয়া।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ প্রকল্পটি নতুন। গত মাসে দেশের দ্বিতীয় কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণে রুশ প্রতিষ্ঠান গ্লাভ কসমসের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান গ্লাভ কসমস।
বাংলাদেশে সুইফট ব্যবহারকারী গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী বলেন, ‘রাশিয়ার সব ব্যাংক এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ছে না। এরপরও আমাদের দুশ্চিন্তা আছে। কারণ, রাশিয়ার বছরে ৬০ কোটি ডলারের রপ্তানি আছে। এখন এসব রপ্তানির জন্য চীনের ব্যাংকগুলোর ওপর নির্ভর করতে হবে। এতে খরচ ও ঝুঁকি বাড়বে।’