ঢাকা শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ঋণে শীর্ষে ব্র্যাক ব্যাংক, আমানতে ইসলামী ব্যাংক
  • ব্যাংকবীমাবিডি
  • ২০২২-০১-১৭ ১১:৪২:৫৬

এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম শুধু গ্রামীণ আমানত সংগ্রহেই সীমিত থাকছে না, সেই সঙ্গে ঋণও বিতরণ করে চলেছে। তবে সব ব্যাংক নয়, কিছু ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংক নামের এই তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ঋণ প্রদান ও আদায় করছে। তারা ঝুঁকি থাকলেও এই পথকেই আপাতত বেছে নিয়েছে।

বর্তমানে দেশে ২৯টি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে এই সেবার মাধ্যমে ঋণ দিচ্ছে ১১টি ব্যাংক। এর মধ্যে আবার কিছু ব্যাংক আমানত সংগ্রহের চেয়ে ঋণ বিতরণেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সদ্যবিদায়ী ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণে ব্র্যাক ব্যাংক ও আমানতে ইসলামী ব্যাংক সবার শীর্ষে অবস্থান করে। তখন ব্র্যাক ব্যাংকের দেওয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা। আর ইসলামী ব্যাংকের আমানত দাঁড়িয়েছিল ৮ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা।

দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৪ সালে। ব্র্যাক ব্যাংক অবশ্য সেবাটি চালু করে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর। চার বছর পরে শুরু করলেও ব্যাংকটির এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম এরই মধ্যে দেশের ৬৪ জেলাতেই ছড়িয়ে পড়েছে। দেশব্যাপী ব্যাংকটির এজেন্ট সংখ্যা এখন ৭০৫।

জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্র্যাক ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ২ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকার ঋণের বিপরীতে আমানত ছিল ৫৩৭ কোটি টাকা।

জানতে চাইলে ব্র্যাক ব্যাংকের বিকল্প ব্যাংকিং চ্যানেলের (এবিসি) প্রধান নাজমুর রহিম বলেন, যে এলাকায় ঋণ যাচ্ছে, সেখানে আমাদের শাখা নেই। কিন্তু এজেন্টরা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ জন্য ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এজেন্টরা বেশি এগিয়ে যাচ্ছে। ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এজেন্টরা প্রাথমিক তথ্য দিচ্ছে। আমাদের কর্মীরা যাচাই–বাছাই করে ঋণ প্রদান করছে। এসএমই খাতেই বেশি ঋণ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষিতেও ঋণ যাচ্ছে।

শুধু ব্র্যাক নয়, আরও কয়েকটি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত সংগ্রহের তুলনায় ঋণ বিতরণেই বেশি জোর দিচ্ছে। এ রকমই একটি হলো দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড। এই ব্যাংক ৩৫২ কোটি টাকার আমানত পাওয়ার বিপরীতে ঋণ বিতরণ করেছে ৪৩৬ কোটি টাকা। সিটি ব্যাংক ২০১৭ সালের জুনে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করে। এখন সারা দেশে ব্যাংকটির এজেন্ট আউটলেট রয়েছে ১ হাজার ২১৩। আরও যেসব ব্যাংক এজেন্টদের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ জোর দিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আছে— ব্যাংক এশিয়া, ডাচ্–বাংলা, আল-আরাফাহ্‌, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, ইসলামী, এনআরবি, যমুনা, মধুমতি ও মিডল্যান্ড।

এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ব্যাংকগুলো মূলত ছোট অঙ্কের এসএমই, কৃষি ও ভোক্তা ঋণ দিচ্ছে। এসব ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ। যেহেতু এজেন্টরা একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে, সেহেতু প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কম সুদে ঋণ সুবিধা পাচ্ছে। কারণ, স্থানীয় পর্যায়ে বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) দেওয়া ঋণের সুদের হার ২০ শতাংশের বেশি পড়ে। সে জন্য এখন এজেন্ট ব্যাংকিং ঋণের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা হচ্ছে বলে মনে করছেন খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১৫টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট উদ্বোধন
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের দুই নতুন উপশাখা উদ্বোধন
প্রিমিয়ার ব্যাংকের পাঁচ নতুন এজেন্ট আউটলেট শুভ উদ্বোধন