ব্যাংকারস বুকস এভিডেন্স অ্যাক্ট-১৮৯১’র বাতিল করে ‘ব্যাংকার সাক্ষ্য বই বিল-২০২১’ সংসদে পাস হয়েছে। ১৮৯১ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়। ব্যাংকের লেজার বুক, ক্যাশ বুক এগুলোকে সাক্ষ্য বই বলা হয়।
শনিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠান এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
গত ১৪ জুন বিলটি সংসদে তোলার পর পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যেসব রেকর্ড হবে সেগুলোও ‘সাক্ষ্য বই’ হিসেবে আইনে বিবেচিত হবে। বিলে বলা হয়েছে, আইনে বর্ণিত কারণ ছাড়া কোনো ব্যাংক কর্মকর্তা বা কর্মচারী কোনো গ্রাহকের তথ্য প্রকাশ করলে তার সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা হবে। এ আইনের অধীন অপরাধ অ-আমলযোগ্য, জামিনযোগ্য ও আদালতের সম্মতিতে আপসযোগ্য হবে বলে বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে আরো বলা হয়েছে, সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিচে কোনো পুলিশ কর্মকর্তার লিখিত প্রতিবেদন ছাড়া আদালতের কাছে এ আইনের অধীনে কোনো অপরাধ গ্রহণযোগ্য হবে না। বিলে তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্র এবং আদালতের এখতিয়ার সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলমান বিশ্বায়নের যুগে দ্রুতগতিতে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের উন্নয়নের ফলে আইসিটিভিত্তিক ব্যাংকিং এখন অপরিহার্য।