সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে আসা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তী আদেশের জন্য ১৭ নভেম্বর দিন রেখেছেন হাইকোর্ট।
আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানালেও দুদক বা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে গণমাধ্যমে আসা খবর যুক্ত করে রিটটি করা হয়।
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে করা রিটটি আজ শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ১ আগস্ট সময়ের আলো পত্রিকায় ওই সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। পত্রিকায় আসা দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
অর্থসচিব, দুদক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবির, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
এর আগে ১ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের দুর্নীতি নিয়ে 'এক চেয়ার ১ লাখ ৪০ হাজার' শিরোনামে প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। এছাড়া সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির তদন্তের বাংলাদেশে ব্যাংক, দুদকের কাছে আবেদন করেও সাড়া মিলছে না, এমন খবর রিটে সংযুক্ত করা হয়।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষ থেকে রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাছ উদ্দিন ভুইয়া ও মো. মাহবুবুল এসলাম।