কোটি টাকার ঋণ নবায়ন মঞ্জুরি বর্ধিত না করায় গলাচিপার অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড শাখায় সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ও ম্যানেজার মো. নাজমুল হাসানকে মারধর করে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠেছে ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুন রাহাত চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে একটি ব্যাংকের গলাচিপা শাখার ব্যবস্থাপকের কক্ষে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই ব্যবসায়ী আটক করেছে। এ ঘটনায় গলাচিপা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান গলাচিপা থানার ওসি এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম।
গলাচিপা অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ও শাখা ব্যবস্থাপক অভিযোগ করেন, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌর এলাকার ব্যবসায়ী মেসার্স চৌধুরী ট্রেডলিংকের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন রাহাত চৌধুরী ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের কক্ষে বসেন। এ সময় তার পূর্বের করা ৬০ লাখ টাকার ঋণসহ আরও ৪০ লাখ টাকা মোট এক কোটি টাকার বর্ধিত ঋণ মঞ্জুরি না করায় ক্ষুব্ধ হন।
ব্যবস্থাপক আরও জানান, রাহাত চৌধুরীর আগের যে ৬০ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে তার পরেও আরও ৪০ লাখ টাকার যে ঋণ বর্ধিত করতে চান তা তার জামানতে ঋণের আওতা বহির্ভূত। এ কথা শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে রাহাত চৌধুরী শাখা ব্যবস্থাপক নাজমুলের জামার কলার ধরে মারধর করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। একপর্যায়ে পেপার ওয়েটে দিয়ে টেবিলের গ্লাস ভাংচুর ও কাগজপত্র নষ্ট করেন।
এ সময় ব্যবস্থাপকের ডাক-চিৎকার শুনে ব্যাংকের অন্যান্য কর্মচারীরা ব্যবস্থাপককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। গলাচিপা থানা পুলিশ খবর পেয়ে ব্যাংকে গিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে। এর আগেই অবস্থা বেগতিক দেখে রাহাত পালিয়ে যান।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা গলাচিপা থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম কবির বলেন, গলাচিপা অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের কক্ষ পরিদর্শন করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। রাহাত চৌধুরী এর আগেও ২০১৫ সালে গলাচিপা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আলতাফ হোসেনকেও (বর্তমানে অবসরে) লাঞ্ছিত করেছিলেন। তার বাবা প্রভাবশালী হওয়ায় ওই সময় ঘটনা আপস মীমাংসা হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে গলাচিপা থানার ওসি এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই অগ্রণী ব্যাংকের ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযুক্ত মেসার্স চৌধুরী ট্রেড লিংকের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন রাহাত চৌধুরীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।