জাকির থাকেন রমনা এলাকায়। চলমান লকডাউনের মধ্যেই সঙ্গে তিনজনকে নিয়ে সকালে গিয়েছিলেন ধানমন্ডির ন্যাশনাল ব্যাংকে। কিন্তু ফেরার পথে শাহবাগে তাকে আটকে দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। যথোপযুক্ত কারণ মনে না হওয়ায় তাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
লকডাউনের ষষ্ঠদিনে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) এ ঘটনা ঘটে। দুপুর ১২টা থেকে শাহবাগ মোড়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে র্যাব।
অভিযোগ করে জাকির বলেন, ‘করোনায় তো ব্যাংক খোলা। জরুরি লেনদেনের জন্যই গিয়েছিলাম ব্যাংকে। এরপরও জরিমানা গুনতে হলো।’
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, ‘জরুরি লেনদেনের জন্য তিনি অবশ্যই যেতে পারবেন। তবে তিনি যেটা করেছেন এক চেকের টাকা উত্তোলনের কথা বলে তিনজনকে নিয়ে বের হয়েছিলেন, যা এই মুহূর্তে অগ্রহণযোগ্য।’
এমনই একজন প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি মেডিসিন ব্যবসায় জড়িত। ঢাকার নবাবগঞ্জ ও মোহাম্মদপুরে তার ওষুধের দোকান।
তিনি বলেন, ‘আমার দুই ভাই দুবাই থাকে। তারা কিছুদিন আগে দেশে ফিরেছে। শিগগিরই ওরা আবার দুবাই ব্যাক করবে। ওদের ভ্যাকসিন দরকার। কিন্তু ওরা ঢাকা শহরে অনেক কিছু জানে না বলে আমি একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করে ওদের নিয়ে এসেছিলাম রমনা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। সেখান থেকে ফেরার পথে শাহবাগে মোবাইল কোর্ট আমাদের আটকায় এবং এক হাজার টাকা জরিমানা করে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তো জরুরি কাজেই বের হয়েছিলাম কিন্তু এভাবে জরিমানা করাটা অহেতুক, অকারণ।’
এ ব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, ‘ভ্যাকসিন যিনি নেবেন তিনি খোঁজ খবর নিয়েই এ সময় উচিত ঘর থেকে বের হওয়া। কিন্তু তারা এক গাড়িতে চারজন এসেছেন তাদের দুজনের ভ্যাকসিন প্রয়োজন নেই। সেজন্য একজনকে জরিমানা করা হয়েছে।’