ঢাকা বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
রফতানি নীতি সহায়তার সময়সীমা বাড়ল
  • ব্যাংকবীমাবিডি
  • ২০২১-০৬-০৭ ০৯:৩৫:২৬

করোনা মহামারি পরিস্থিতির কারণে রফতানি খাতে নীতি সহায়তার সময়সীমা আরো ছয় মাস বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত নীতি সহায়তা পাবেন রফতানিকারকরা।

সোমবার (৭ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।

সার্কুলারের নির্দেশনা অনুযায়ী, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎকৃত রফতানি বাণিজ্যিক লেনদেন বিষয়ক নীতি সহায়তার সময়সীমা ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। নীতি সহায়তার অংশ হিসেবে রফতানি মূল্য প্রত্যাবাসন সময় ২১০ দিন পর্যন্ত রাখা হয়েছে। প্রযোজ্য সুদ হারে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের সময়সীমা অতিরিক্ত ১৮০ দিন বাড়াতে পারবে।

রফতানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) এর ঋণের অতিরিক্ত সময় ৯০ দিনের পরিবর্তে ১৮০ দিন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। এছাড়া সাপ্লায়ার্স ও বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় স্থাপিত ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের দায় পরিশোধের নিমিত্তে ইডিএফ থেকে ১৮০ দিন সময়ের জন্য অর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করা যাবে মর্মে সার্কুলারে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে বিজিএমইএ ও বিটিএমএ এর সদস্য মিলের জন্য ইডিএফ ঋণ সীমা ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থাকছে। বৈদেশিক মুদ্রায় স্থানীয় সরবরাহ বিল ব্যাংকের নস্ট্রো হিসাবের (বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব) মাধ্যমে পরিশোধ ব্যবস্থাও একই সময়ের জন্য বলবৎ থাকবে।

নীতি সহায়তা বর্ধিতকরণের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, চলমান পরিস্থিতিতে রফতানিকারকদেরকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য কতিপয় নীতি সহায়তার সময়সীমা আগের মতো বাড়ানো হয়েছে।

তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, করোনা মহামারিতে পোশাক শিল্প একটি ক্রান্তিলগ্ন অতিক্রম করছে। এ অবস্থায় পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাগন অর্থনীতির চাকা সচল রাখা এবং প্রতিকূল পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক এ নীতি সহায়তা করোনায় ক্ষতি পুরুদ্ধারের রফতানিকারকদের স্বস্তি দেবে এবং এ শিল্পকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে।

ব্যাংক খাত সংস্কারে ৬ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন
আদায়কৃত অতিরিক্ত সুপারভিশন চার্জ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ
স্বতন্ত্র পরিচালকের যোগ্যতা-বেতন কত জানালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক