সাধারণ ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি দেশে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাংকিং সেবা। বাসায় বা কর্মস্থলে বসেই এ সেবা নিচ্ছেন লক্ষাধিক গ্রাহক। ব্যাংকাররা বলছেন, ব্যাংকিং সেবা সহজ করাই এর মূল লক্ষ্য। তবে লেনদেনে সাধারণ প্রযুক্তি ব্যবহার না করে ব্যাংকের নিজস্ব সফটওয়্যার ব্যবহারের পরামর্শ প্রযুক্তিবিদদের।
হোয়াটসঅ্যাপ। বর্তমান সময়ে এক জনপ্রিয় অ্যাপলিকেশন। যার মাধ্যমে বার্তা পাঠানো থেকে শুরু করে ছবি, অডিও-ভিডিও ছাড়াও ভয়েস কল ও ভিডিও কলের মাধ্যমে ব্যক্তিগত বা অফিসিয়াল অনেক ধরনের সেবা আদান-প্রদান হচ্ছে এখন। ডিজিটালাইজেশনের এ আসরে এবার যুক্ত হয়েছে ব্যাংকিং সেবা। অ্যাপটি ব্যবহার করে সেবা দিচ্ছে দেশের একটি সরকারিসহ ৪টি ব্যাংক। ব্যাংকে না গিয়েও অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেন, বিভিন্ন পরিষেবা বিল প্রদান থেকে শুরু করে নিজস্ব অ্যাকাউন্টের বিভিন্ন তথ্য জানতে পারছেন দেশি-বিদেশি গ্রাহকরা।
হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা নিতে হলে সাধারণ নিয়মের মতোই নিজ মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নির্দিষ্ট কোডের মাধ্যমে পাওয়া যাবে এ সেবা।
বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনিসুর রহমান বলেন, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আমাদের ব্যাংকের যারা গ্রাহক আছে তারা তাদের অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্সটা জানতে পারে। তারা মিনিমাম পাঁচটি লেনদেন জানতে পারেন।
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এমরানুল হক বলেন, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাসায় ব্যাংকের সেবা নিতে পারছেন গ্রাহকরা।
তবে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহসেদ সাব্বির বলছেন, তথ্য চুরি হওয়ার আশঙ্কা থাকায় ব্যাংকের নিজস্ব সফটওয়্যার ব্যবহার করাই নিরাপদ।
এ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আরো বলেন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় ব্যস্তবতায় আজকে যে সাইবার নিরাপত্তায় সেই দিক বিবেচনায় আমরা যদি দীর্ঘমেয়াদি সেবা পেতে চাই, বা তারা দিতে চায় তাহলে তাদের নিজস্ব সফটওয়্যার ব্যবহার করা। তাহলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবেন এবং গ্রাহক সেবাও দিতে পারবেন।
বিশ্বের অনেক দেশেই এখন রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাংকিং সেবা। দেশে এর কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এক বছরে ৪টি ব্যাংকে এ পর্যন্ত সেবা নিচ্ছেন এক লাখেরও বেশি গ্রাহক।
ব্যাংকগুলো হলো ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, বেসিক ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক।