করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বাস মালিকদের কম সুদে ঋণ দিতে ১০০ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এর সুদের হার কত হবে, ঋণের মেয়াদ ও আদায় পদ্ধতি কী হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে কারা বিবেচিত হবেন- এসব বিষয় পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাস মালিকদের জন্য কম সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সুবিধার জন্য বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ। পর্ষদ এ প্রস্তাবের ওপর নীতিগত অনুমোদন দিলেও তহবিলের আকারসহ সার্বিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশনা দিয়েছে। এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প উদ্যোক্তা, প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষি, সিনেমা মালিকসহ বিভিন্ন শ্রেণির জন্য কম সুদের পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাছের বলেন, পরিচালনা পর্ষদের নীতিগত অনুমোদনের পর এখন বিস্তারিত নীতিমালা করা হবে। কোন শ্রেণির মালিক কী উপায়ে এবং কত সুদে ঋণ পাবেন, তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের গতকালের বৈঠকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কারেন্সি সোয়াপ পদ্ধতি চালুর বিষয়ে প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টির বিপরীতে বিশেষায়িত খাতের বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংককে দেওয়া এক হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থ সংস্থানের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন হয়। বৈঠকে রাষ্ট্রীয় মালিকানার ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের ক্যামেলস রেটিং এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের ওপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেনটেশন দেওয়া হয়। এ ছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যাংক কর্মকর্তাদের সুবিধার বিষয়ে পর্ষদকে অবহিত করা হয়।