ঢাকা শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
এ সময়ে গ্রাহকের পাশে থাকা ঈদের বড় আনন্দ
  • হুমায়রা আজম
  • ২০২১-০৫-১২ ২৩:২৩:৪৫

করোনাকাল বদলে দিয়েছে অনেক কিছু। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা গেছে থমকে। উৎসবের আনন্দও ম্লান হয়ে গেছে করোনার থাবায়। তবু ঈদ আসে, আসে উৎসব। অনেকে বড়বেলায় ঈদের আনন্দ খোঁজেন ফেলে আসা ছোটবেলার ঈদে। এক বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবসা-বাণিজ্যে চলছে মন্দা। তাই শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা করোনা সংকটের মধ্যে তৃতীয় ঈদ উদ্‌যাপিত হতে যাচ্ছে কয়েক দিন পর। ট্রাস্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী হুমায়র আজম এর ঈদের একাল-সেকাল নিয়ে ভাবনা নীচে তুলে ধরা হলো।

আমার বাবা ইসলামাবাদে চাকরি করতেন। সেখানকার মডেল স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। এ জন্য আমার ছোটবেলার ঈদ বাসাতেই কাটত। ১৯৭৪ সালের পর আমরা বাংলাদেশে চলে এলাম। তখন থেকে প্রকৃত ঈদ উদ্‌যাপন শুরু হয়। ঈদের আগের রাতে মা সব ধরনের সেমাই, কাস্টার্ড, বিরিয়ানি, ইলিশ-পোলাও রান্নার প্রস্তুতি নিতেন। মায়ের রান্নায় সঙ্গ দেওয়াটা ছিল আনন্দের। সকালে ঘুম থেকে বাবার সঙ্গে ঈদের নামাজে যাওয়ার চেষ্টা করতাম। যেতে পারলে খুশির কোনো শেষ ছিল না। ওই সময়ে ঈদের দিন আত্মীয়স্বজনের বাসায় যাওয়া হতো। অনেকে আবার আমাদের বাসায় আসতেন। এটাই ছিল ঈদের আনন্দ। আমার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয় ১৯৮১ সালে, এর কিছুদিন পর বাবা মারা যান। এরপর থেকে আমাদের পরিবারে ঈদের আনন্দ শেষ হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তা আর ফিরে আসেনি। বিয়ের পর নিজেরও আলাদা পরিবার হয়েছে। চাকরি করে ভালো পদে দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু আমার ঈদের আনন্দ সেই ১৯৮১ সালেই আটকে আছে।

চাকরিজীবনে এসে ব্যাংকের সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শুরু হয়। ঈদের আগে গ্রাহকদের শুভেচ্ছা পাঠানো হয়। গ্রাহকেরা শুভেচ্ছা পাঠালে তাঁর জবাব দিই। আর ঈদের দিন সকাল থেকে ফোনে ও খুদে বার্তায় শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। এটাই এখন ঈদের আনন্দ।

এক বছর ধরে চলছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। করোনার কারণে কারও সঙ্গে দেখা–সাক্ষাৎ হওয়াও প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তাই শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য মোবাইল ও অনলাইনের ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে। আমি চেষ্টা করি সবার শুভেচ্ছার জবাব দেওয়ার। করোনার প্রকোপ চললেও আমরা ব্যাংকাররা কিন্তু বসে নেই। দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিতে ব্যাংকাররা সব সময়ই মাঠে আছে। ঈদের ছুটি বলে আমাদের জীবনে কিছু নেই। নিয়মিত প্রকল্প পরিদর্শন, ঋণ আদায় ও বিতরণ—সব কার্যক্রম চলছে। করোনায় যেসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ঝিমিয়ে পড়েছে, আমরা তাদের পাশে আছি। কীভাবে তাদের সহায়তা দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করা যায়, তা নিয়ে কাজ করছি।

আমাদের সব কর্মী এ জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আবার করোনাভাইরাসের কারণে যে প্রণোদনা তহবিল দেওয়া হয়েছিল, তা যেন যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয়, এ জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখন গ্রাহকদের পাশে থাকায় আমার মতো ব্যাংকারদের জীবনে ঈদের বড় আনন্দ।

বাণিজ্যিক ব্যাংকের নামের শেষে ‘পিএলসি’, সুবিধা-অসুবিধা
পদোন্নতি হলোনা, কি করবেন
রাশিয়ার উপর নিষেধজ্ঞায় বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে প্রভাব