ঈদের ছুটিতে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ব স্ব কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে আসন্ন ঈদে ব্যাংকাররা কর্মস্থলের শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ি বা অন্য কোথাও যেতে পারবেন না।
বুধবার (৫ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংকিং কার্যক্রম প্রসঙ্গে’ নতুন এ নির্দেশনা জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধ ৬ মে থেকে ১৬ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ সময় ব্যাংকও সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন হবে। লেনদেন-পরবর্তী আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দৈনিক ব্যাংকিং লেনদেনের সময়সূচি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো। লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখা এবং প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ১৩ এপ্রিল জারি করা ডিওএস সার্কুলার লেটার নং-১৫ প্রদত্ত অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ঈদের ছুটিতে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আবশ্যিকভাবে স্ব স্ব কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে। ঈদের আগে তৈরিপোশাক শিল্পে কর্মরতদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে এবং রফতানি বাণিজ্য অব্যাহত রাখার স্বার্থে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাকশিল্প এলাকার তফসিলি ব্যাংকের পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট শাখাসমূহ ও প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহ স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পরিপালন নিশ্চিত করে আগামী ১০ মে থেকে ১৩ মে (১৪ মে ২০২১ তারিখে ঈদ হওয়া সাপেক্ষে) খোলা রাখতে হবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।