ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসছে বিমা খাতের আরও দুই কোম্পানি। এগুলো হলো- সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
প্রতিষ্ঠান দুটি বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছ থেকে অনুমোদন নিয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সপ্তাহখানেক আগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন জমা দিয়েছে। একই কপি দুই স্টক এক্সচেঞ্জকেও দিয়েছে তারা।
আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৭ সালে আইপিডিসি-র সঙ্গে যাত্রা শুরু করার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির অবিচ্ছেদ্য অংশ রিজওয়ানকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। আইপিডিসিকে প্রতিনিয়ত নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া এবং সব ক্ষেত্রে পারদর্শিতার পরিচয় রাখার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে রিজওয়ান এক অনন্য উদাহরণ।’
কোম্পানির তথ্যানুসারে, নতুন প্রজন্মের সাধারণ বিমা অর্থাৎ নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১৬ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করতে চায়। আইপিওর মাধ্যমে ১ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার বাজারে ছেড়ে এই টাকা উত্তোলন করবে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২৪ কোটি টাকা।
কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজারে আনতে ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। সর্বশেষ বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, এই কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৩ টাকা ৯৩ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ২১ টাকা ৯ পয়সা।
অপর কোম্পানি হলো- চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স। আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলন করতে চায়।
এই কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজারে আনতে ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। সঙ্গে রয়েছে ট্রাস্ট ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও এবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডের আকার ২১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির প্রিমিয়াম আয় হয়েছে ৩১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।