ঢাকা বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
‘ব্যাংকের মতো বিমা খাতেও নজর দিতে হবে’
  • ব্যাংকবীমাবিডি
  • ২০২১-০৪-৩০ ০৯:৪৩:৫৯

ব্যাংক খাতকে সরকার যেভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করে বিমা খাতকেও সেভাবে পরিচালনা করতে হবে। তাহলে দেশের অর্থনীতির গতি আরও এগিয়ে যাবে। সরকার এ খাত থেকে বড় অঙ্কের রাজস্ব আয় করতে পারবে বলে মনে করেন মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক। 

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিমা খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্সুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরাম (আইআরএফ) ও মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি আয়োজিত বিমা খাতের সাংবাদিকদের ভার্চুয়াল কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি  এসব কথা বলেন।

২৭ এপ্রিল সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদান করেছেন মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ। মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ আগে ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কর্মাস ব্যাংকের এমডি ছিলেন।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরামের (আইআরএফ) সভাপতি গোলাম মওলা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত সুমনের সঞ্চালনায় মেঘনা ইন্সুরেন্স কোম্পানির ডিএমডি মো. হাফিজুর রহমানসহ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনির হোসেন ও মো. কবির আহমেদ, ঊর্ধ্বতন মহাব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন দেওয়ান ও মো. গোলাম আল মামুন, উপ মহাব্যবস্থাপক আবু নাসের মিয়াজী এবং সহ-মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সামাদসহ আইআরএএফের সদস্যরা অংশ নেন।

আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘দেশে ব্যাংকের সংখ্যা ৬০টি। আর লাইফ ও নন-লাইফ কোম্পানির সংখ্যা ৮০টি। এটি মনিটারিংয়ের জন্য ছোট একটি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আছে। নিয়ন্ত্রণ সংস্থা যত বেশি সক্রিয় হবে, তত বেশি বিমা কোম্পানিগুলো লাভবান হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিমা খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা নিজেই জনবল সংকটে রয়েছে। অধিকাংশ কর্মকর্তাই চুক্তিভিক্তিক। তাদের অনেকেরই বিমা খাতের ধারণা নেই।’

ব্যাংক সরল অঙ্কে চলে, কিন্তু বিমা সরল অঙ্কে চলে না উল্লেখ্য করে তিনি এ খাতকে এগিয়ে নিতে সরকারকে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, ‘বাধ্যবাধকতা ছাড়া কেউ নন-লাইফ বিমার আওতায় আসতে চায় না। শিল্প-করখানাসহ বড় বড় মার্কেটের বিমা করা নেই। তাদের সম্পদের অবশ্যই বিমা করা উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিমার আওতায় রয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ৬০ শতাংশ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিমার বাইরে রয়েছে। বর্তমানে প্রিমিয়াম আছে ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। সরকার এদিকে বিশেষ গুরত্ব দিলে বিমা কোম্পানিগুলো ১৫ থেকে ১৬ হাজার কোটি টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করতে পারবে। এতে করে সরকারও বড় রাজস্ব পাবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে মেঘনা ইন্সুরেন্সের এই সিইও বলেন, ‘বিমা দাবি আদায়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান সার্ভে প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আইডিআরএ-তে আপিল করতে পারে।’

বিমা খাতে আস্থা সংকট অনেক কমেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আস্থা সংকট এক সময় ছিল। কিন্তু বর্তমানে আস্থা সংকট তেমন নেই। কোম্পানিগুলো নিয়মিত বিমার দাবি পরিশোধ করছে।’ এক সময় বিমার ওপর শিক্ষা ও দক্ষতার অভাব ছিল, কিন্তু এখন এমনটা নেই বলেও জানান তিনি।

গ্রাহকদের অনাস্থায় ধুঁকছে দেশের বীমা খাত
ফারইস্ট ইসলামী লাইফের মালিকানায় বেক্সিমকো গ্রুপ
জনতা ইন্স্যুরেন্স থেকে বশির আহমেদকে অপসারণ