কৃষকের ঋণ গ্রহণ সহজ করতে কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদের ঊর্ধ্বসীমা ৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮ শতাংশে নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যা চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। এ সময় থেকে ব্যাংকগুলো কৃষি ঋণের ক্ষেত্রে ৮ শতাংশের বেশি সুদ নিতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ সুদহার পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত এক নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশের সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালের ২২ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদের ঊর্ধ্বসীমা ১০ থেকে কমিয়ে ৯ শতাংশে নির্ধারণ করেছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। কৃষির উন্নয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের বিপুল জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তাই বাংলাদেশ সরকার খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কৃষি উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় দেশের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিঘ্নিত হচ্ছে।
এর ফলে অন্যান্য খাতের মতো কৃষি খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি খাতে স্বল্প সুদে ঋণ সরবরাহ নিশ্চিত করে কৃষকদেরকে স্বাভাবিক উৎপাদনশীল কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনাসহ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে উক্ত খাতে ঋণ/বিনিয়োগের সুদ/মুনাফা হার হ্রাস করা প্রয়োজন।
এসব বিবেচনায় জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষি খাতের অবদান বিবেচনায় কৃষি খাতে স্বল্প সুদে ঋণ সরবরাহ নিশ্চিত করে কৃষকদেরকে স্বাভাবিক উৎপাদনশীল কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনাসহ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত হিসেবে কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদ সর্বোচ্চ ৯ শতাংশের এর পরিবর্তে সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ এ পুনঃনির্ধারণ করা হলো।
এ নির্দেশনা ১ এপ্রিল ২০২১ তারিখ হতে কার্যকর বলে গণ্য হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।