গত এক বছর ধরে দেশে মহামারি করোনার প্রকোপ চলছে। এতে করে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে মন্দাভাব দেখা দিচ্ছে। তবে গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকে কোটিপতি আমানতকারী গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ৮৯০টি। এবং এসব হিসাবে আমানতের পরিমাণ মোট আমানতের ৪৮. ১৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছ, গত বছরের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট আমানতকারী গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৫৮ লাখ ১২ হাজার ৯৬৬টি। এর মধ্যে এক কোটি টাকার উপরে রয়েছে এমন হিসাবের সংখ্যা ছিল ৯৩ হাজার ৮৯০টি। এ সময়ে ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ৪৩ দশমিক ১৬ শতাংশই কোটিপতিদের দখলে।
প্রতিবেদনের দেখা গেছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে এক কোটি এক টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকার আমানতকারী হিসাবের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৩ হাজার ৮৭৫টি। পাঁচ কোটি এক টাকা থেকে ১০ কোটির মধ্যে ১০ হাজার ৪৭২, ১০ কোটি এক টাকা থেকে ১৫ কোটির মধ্যে তিন হাজার ৫০৭, ১৫ কোটি এক টাকা থেকে ২০ কোটির মধ্যে এক হাজার ৬৩২, ২০ কোটি এক টাকা থেকে ২৫ কোটির মধ্যে এক হাজার ১৩৩, ২৫ কোটি এক টাকা থেকে ৩০ কোটির মধ্যে ৭২৫, ৩০ কোটি এক টাকা থেকে ৩৫ কোটি টাকার মধ্যে ৩৮৪ এবং ৩৫ কোটি এক টাকা থেকে ৪০ কোটি টাকার মধ্যে ২৯৪টি আমানতকারী হিসাব রয়েছে।
৪০ কোটি এক টাকা থেকে ৫০ কোটি টাকার মধ্যে অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ৪৭৮টি। আলোচিত সময়ে ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা হিসাবের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ৩৯০টিতে দাঁড়িয়েছে, ২০১৯ সালে যা ছিল এক হাজার ২৮৩টি। অর্থাৎ এক বছরে ৫০ কোটি টাকার বেশি হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে ১০৭টি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংকে কোটি টাকার উপরে রয়েছে- এমন হিসাবধারী গ্রাহকের আমানতের মোট পরিমাণ ছিল পাঁচ লাখ ৯৫ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর শেষে দেশে কোটিপতির সংখ্যা ছিল ৮৭ হাজার ৪৯০। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে কোটিপতিদের হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে ছয় হাজার ৪০০টি। সেপ্টেম্বরে মোট আমানত জমা ছিল পাঁচ লাখ ১৪ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে কোটিপতি হিসাব ছিল ৮৩ হাজার ৮৩৯টি। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোটিপতি আমানতকারী হিসাব বেড়েছে ১০ হাজার ৫১টি।