লকডাউনে ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছে। তবে গ্রাহকদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। ব্যাংকগুলোতে অন্যান্য দিনের চেয়ে লেনদেন কম হয়েছে।
সোমবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিল দিলকুশা ব্যাংকপাড়া এলাকায় ঘুরে শাখাগুলোতে খোঁজ নিয়ে এসব চিত্র দেখা গেছে।
ব্যাংকাররা জানান, সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছি। লকডাউনের কারণে অন্য দিনের চেয়ে গ্রাহক ব্যাংকে কম এসেছে। তাতে আশানুরূপ লেনদেন হয়নি।
মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার (চলতি দায়িত্ব) মো. আব্দুল ওয়াহাব জানান, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছি। লকডাউনের কারণে ব্যাংকের গ্রাহক উপস্থিতি কম ছিল। তাই লেনদেন অন্যদিনের তুলনায় কম হয়েছে।
ব্যাংকারা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী করোনাকালে গ্রাহকদের ব্যাংকে আসার চেয়ে অনলাইন, এটিএম বুথ, মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করতে উৎসাহ দিচ্ছি। তাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে গ্রাহকরা যেমন রক্ষা পাবে তেমনই ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও নিরাপদ থাকবে।
তারা বলছেন, ব্যাংকে দিনে দুই ধরনের গ্রাহক উপস্থিত হয়। এর মধ্যে একভাগ দুপুরের আগে অপরভাগ দুপুরের পরে। ব্যাংকিং কার্যক্রম সীমিত করার ফলে দুপুরের আগে যারা ব্যাংকের কাজে আসে তারাই কেবল লকডাউনের প্রথম দিন লেনদেন করেছে। তাছাড়া রাস্তায় যান চলাচল সীমিত থাকার কারণে অনেক গ্রাহক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ব্যাংকে আসতে পারেনি। ফলে লেনদেন অনেক কম হয়েছে। তবে দুই এক দিন গেলে আবার গ্রাহক বাড়বে লেনদেনও স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের স্থানীয় শাখার ডেপুটি ম্যানেজার মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের সীমিত ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। যথা নিয়মে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করে আমরা গ্রাহকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তবে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় আজকে লেনদেন কিছুটা কম। তাছাড়া আমরা আমাদের এটিএম বুথগুলোতে, অনলাইনে গ্রাহকদের ব্যাংকিং কার্যক্রমের জন্য উদ্বুদ্ধ করছি। এর মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
এদিকে, মতিঝিল দিলকুশা ন্যাশনাল ব্যাংকের শাখায় গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আকরাম নামের এক গ্রাহক জানান, ভিতরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লেনদেন হচ্ছে বলে দুই জনের বেশি ঢুকতে দিচ্ছে না তাই লাইনে দাঁড়িয়ে আছি।
ব্যাংকটির দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেবা দিচ্ছি। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সীমিতসংখ্যক গ্রাহককে পর্যায়ক্রমে শাখার ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিন দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলো সীমিত আকারে চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, সোমবার থেকে সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টা গ্রাহক লেনদেন করতে পারবেন। আর ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।