পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে এক পাথর আমদানিকারক ভুয়া বিল অব এন্ট্রি প্রদানের অভিযোগ তুলেছেন সিএন্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে।
এতে প্রায় দুই বছর ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন আল আমিন নামের এই আমদানিকারক।
আমদানি মূল্য পরিশোধের পর পণ্য বন্দরে পৌঁছালে তা রিপোর্ট করতে হয়; এটি বিল অব এন্ট্রি নামে পরিচিত। পণ্য আমদানি সহজ করতে ও ভোগান্তি কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ গত বছরের ২১ জুলাই এই ব্যাপারে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এখন থেকে শুল্ক কর্তৃপক্ষের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা থেকে বিল অব এন্ট্রি সংগ্রহ করবে আমদানিকারকের ব্যাংক। আমদানির বিপরীতে যে মূল্য পরিশোধ করা হয় তা মিলিয়ে দেখবে ব্যাংক। এক্ষেত্রে শুল্ক-কর পরিশোধ বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে ব্যাংকগুলোকে।
এই সুবিধা শুধু স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় পরিচালিত শুল্ক স্টেশনের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
তবে এই ব্যবস্থা হওয়ার আগে বাংলাবান্ধায় এই ঘটনা ঘটায় আমদানিকারক আল আমিন এই সুবিধা পাননি।
সংবাদ সম্মেলনে বিজনেস লিংক এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী আল আমিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল উত্তরা ব্যাংকের পঞ্চগড় শাখায় এলসি খুলে ভারত থেকে ৫শ মেট্রিক টন পাথর আমদানি করেন তিনি। এই কাজে সিএন্ডএফ এজেন্ট দাস এন্ড সন্স এর পক্ষে সাইনিং এজেন্ট ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন মুছা।
এই সাইনিং এজেন্ট নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করলেও তাকে বিল অব এন্ট্রি দেননি অভিযোগ করে আল আমিন বলেন, এজন্য উত্তরা ব্যাংক তার একটি চলতি হিসাব ও তিনটি স্থায়ী আমানতের হিসাব বন্ধ রেখেছে। আর্থিক লেনদেন করতে না পেরে তার ব্যবসা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে তিনি চরম বিপাকে পড়েছেন।
আল আমিনের ভাষ্য, এক পর্যায়ে সাইনিং এজেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন মুছা তাকে একটি বিল অব এন্ট্রি দেন। কিন্তু আউটপাস না হওয়ায় ওই বিল অব এন্ট্রিটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক জমা নিচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে তিনি দাস এন্ড সন্সের স্বত্তাধিকারী সুশান্ত দাসের যোগাযোগ করলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি।
তিনি অভিযোগ করেন, তাকে যে বিল অব এন্ট্রি দেওয়া হয়েছে সেটি ‘ভুয়া বা জাল’।