রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে ঋণ বিতরণের শর্ত আরও শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলগুলোতে (ইপিজেড) অবস্থিত দেশি মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি এখন থেকে যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোও ইডিএফ থেকে ঋণ পাবে।
এ বিষয়ে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শর্ত শিথিলের এই বিধান অবিলম্বে কার্যকর হবে।
সূত্র জানায়, করোনার প্রভাব মোকাবিলায় সব খাতের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই শর্ত শিথিল করেছে। এর আগে কয়েক দফায় ইডিএফের শর্ত শিথিল করা হয়েছে। আগে ইপিজেডগুলোতে অবস্থিত শতভাগ দেশি মালিকানাধীন বা সি টাইপ কোম্পানিগুলো ইডিএফ থেকে কম সুদে ঋণ নিয়ে রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল আমদানি করতে পারত। বি টাইপ বা দেশি-বিদেশি যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো এ সুবিধা পেত না।
ফলে তাদের নিজস্ব বৈদেশিক মুদ্রা বা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কাঁচামাল আমদানির এলসি খুলতে হতো। করোনার কারণে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেক কোম্পানি বিদেশ থেকে রপ্তানি আয় দেশে আনতে পারছে না। এ কারণে বকেয়া রপ্তানি আয় দেশে আনার মেয়াদ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। রপ্তানি আয় দেশে আনতে না পারার কারণে দেশের প্রায় সব শিল্প প্রতিষ্ঠান তারল্য সংকটে ভুগছে। এ কারণে বি টাইপ কোম্পানিগুলোকেও ইডিএফ থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
ইপিজেডে অবস্থিত এ টাইপ বা শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোকে বিদেশ থেকে বা তাদের মূল কোম্পানি থেকে ঋণ নেওয়ার শর্ত শিথিল করা হয়েছে আগেই।
তারা তারল্য সংকট মোকাবিলা করতে মূল কোম্পানি বা বিদেশ থেকে সহজে ঋণ নিতে পারছেন। এছাড়া অন্যান্য রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোও ইডিএফ থেকে ঋণ নিতে পারছে।
এদিকে আরেক সার্কুলারে জ্বালানি খাতে ব্যবহৃত খালি এলপিজি সিলিন্ডার আমদানির ক্ষেত্রে নীতিমালা শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়, আগে দেশের শিল্প খাতের আমদানিকারকরা নিজস্ব ব্যবহারের জন্য শিল্পের যন্ত্রপাতি ও খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি করতে এক বছরের ঋণ সুবিধা পেত। এখন থেকে এ সুবিধা দেশের এলপিজি গ্যাস বিপণনের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোও পাবে।