আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড থেকে চাকরি ছেড়েছেন আরিফ খান। ২০১৬ সালের ১ মার্চ থেকে তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
চাকরি ছাড়া বিষয়ে আরিফ খান ইত্তেফাককে বলেন, দেশের ভালো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আইডিএলসি অন্যতম। ভালো সময়ে চাকরি ছাড়তে হয়। অনেক দিনই তো চাকরি করলাম। এখন উদ্যোক্তা হতে চাই। ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটে কাজ করতে চাই।
ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভালোগুলোর অন্যতম আইডিএলসি থেকে পদত্যাগ বিষয়ে ব্যাংক পাড়ায় বেশ কথা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে আরিফ খান বলেন, আইডিএলসির বোর্ড সদস্যরা অসাধারণ। আমাকে আরো অনেক বছর থাকার জন্য বলেছিলেন তারা। তবে আমি নিজে যেহেতু কিছু করতে চাই তাই চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। এখানে অন্য কোনো সমস্যা নেই। আমি চাকরি ছেড়ে দেওয়াতে কলিগদের মন খারাপ বলেও জানালেন তিনি।
আইডিএলসিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ‘কমিশনার’ হিসেবে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সেখানে পাঁচ বছর ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে এবি ব্যাংক লিমিটেডে প্রবেশনারি অফিসার পদে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। দীর্ঘ ৩০ বছরের কর্মজীবনে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বেক্সিমকো ফিশারিজ এবং জেনিথ ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াও ২০ বছর আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের সঙ্গে ছিলেন তিনি।
আরিফ খান একজন চার্টার্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট (সিএফএ) এবং যুক্তরাষ্ট্রের সিএফএ ইনস্টিটিউটের একজন সদস্য। তিনি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) একজন ফেলো সদস্য (এফসিএমএ)। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে মাস্টার্স ইন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) ডিগ্রি ছাড়াও একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।