সিলেটে অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সিএনজি অটোরিকশা চালক নোমান হাছনুরের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমদের খুনের সাথে সম্পৃক্তদের তথ্য উদ্ঘাটনে তাকে রিমান্ডে নিচ্ছে পুলিশ। আজ রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিলেট অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক আবদুল মোমেন শুনানী শেষে মঞ্জুর করেন ৪ দিনের রিমান্ড। এরআগে বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই মিজানুর রহমান আদালতে হাছনুরের সহযোগীদের তথ্য সহ হত্যার মূল কারণ উদ্ঘাটনের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন আদালতে। বন্দরবাজারে ব্যাংকার মওদুদ আহমদকে (৩৫) পিটিয়ে ‘হত্যা’র মূল অভিযুক্ত হচ্ছে হাছনুর।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকাল ১১টায় সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিল সে। এরপর শুনানী শেষে আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন তাকে। হাছনুর সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের পূত্র। রিমান্ডের তথ্য নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান বলেন, ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে আজ ৪দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে হাছনুর সহ তার কয়েকজন সহযোগী মারধর করে ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমদকে। তাকে গুরুতর আহতবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। নিহত মওদুদ ছিলেন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় অগ্রণী ব্যাংকের হরিপুর গ্যাস ফিল্ড শাখার কর্মকর্তা। ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মৃত্যুর পর হত্যাকান্ডকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে প্রচার চালায় পরিবহন শ্রমিকরা।
এ ঘটনায় নিহত মওদুদের বড় ভাই আব্দুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে এসএমপির কোতোয়ালি থানায় সিএনজি অটোরিকশা চালক নোমান হাছনুর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে দায়ের করেন একটি হত্যা মামলা।