রেকর্ড উচ্চতার পৌঁছার পরে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মুদ্রা বিটকয়েন এক বছরের মধ্যে চলতি সপ্তাহে বড় ধরণের পতনের মুখে পড়েছে।
কয়েন ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিটকয়েনের লেনদেন প্রায় ১২ শতাংশ কমেছে। এই সময়ে ক্রিপ্টোকারেন্সির বাণিজ্য কমে ৪৫ হাজার ডলারের নিচে নেমে আসে। এই পতনের মধ্য দিয়ে এই সপ্তাহে ডিজিটাল কয়েন তার দামের চেয়ে ২০ শতাংশ মূল্যমান হারিয়েছে। যা ২০২০ সালের মার্চ থেকে সবচেয়ে খারাপ পতনকে চিহ্নিত করে। অথচ ৫৮ হাজার ডলার রেকর্ড মূল্য নিয়ে সপ্তাহ শুরু করে এই ডিজিটাল কয়েন।
দৈনিক বিটকয়েনের ব্যাপক পতনে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে ধস নেমেছে। তবে বিশিষ্ট বিনিয়োগকারী, ব্যাংক এবং বড় সংস্থাগুলির ব্যাপক আগ্রহের কারণে এই বছর বিটকয়েন এখনও ৬০ শতাংশ বাজার দখল করে আছে। গত সপ্তাহে প্রথমবারের জন্য এই ডিজিটাল মুদ্রার বাজার মূল্য এক ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। তবে সাম্প্রতিক লোকসানের কারণে বাজার মূল্যে ৮৫০ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
বিটকয়েনের প্রভাবশালী সমর্থক ইলন মাস্ক সম্প্রতি বলেছেন যে শীর্ষ ক্রিপ্টোকারেন্সী বিটকয়েন এবং ইথেরিয়ামের দাম অনেক বেশি হবে বলে মনে হয়। তিনি এই এই মন্তব্য করেন টেসলা বিটকয়েনে দেড় বিলিয়ন বিনিয়োগ পরপর।
যদিও কিছু বিশ্লেষক এখনও জোর দিচ্ছেন, যে ক্রিপ্টো বুদ্বুদ ২০১৭ সালের এর মতো আবারো বাড়বে। তবে বিটকয়েনের ধারাবাহিক পতন ও শেয়ার বাজারে নেতিবাচক ধারা মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা করছেন তারা। যদিও এই যুক্তির বিরোধিতা করে বিটকয়েন সমর্থকরা বলছেন, এই ফ্ল্যাগশিপ ক্রিপ্টোকারেন্সি হ'ল মূল্য সঞ্চয়ের সেরা স্টোর এবং এবং মুদ্রাস্ফীতি ঠেকানোর রক্ষাকবচ।