স্বাস্থ্যের উন্নতি থেকে শুরু করে মুখের ব্রণের মতো সমস্যা দূর করে তাই একে উপকারিতার স্টোরহাউজ বলা হয়। বলছি আমলকির কথা। আমলকি বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে। আমরা সবাই একথা জানি যে, আমলকিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা আমাদের শরীরকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ডিটক্স দিতে সহায়তা করে। এটি কমলার চেয়ে আটগুণ বেশি ভিটামিন সি এবং ডালিমের চেয়ে প্রায় ১৭ গুণ বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শক্তিযুক্ত। আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কেন আমলকি রাখা উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত প্রকাশ করছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া-
আমলকি খাওয়ার বিভিন্নরকম উপায়:
ক্যান্ডি: যেসব শিশু ক্যান্ডি খেতে পছন্দ করে তাদের জন্য আমলকির ক্যান্ডি হলো আমলকি খাওয়ার সেরা উপায়। ইচ্ছে করলে আপনিও এই স্বাস্থ্যকর ক্যান্ডিগুলো খেতে পারেন। পানীয় হিসেবে আমলকির রস খেতে পারেন। আপনি যদি সকালে খালি পেটে আমলকির রস পান করেন তবে তা কেবল ওজন কমাতেই সাহায্য করবে না বরং এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তুলবে।
শুকনো আমলকি- কয়েকটি সহজ পদক্ষেপ অনুসরণ করে আপনি ঘরে বসে এই ভিন্ন রকম রেসিপি নিজেই তৈরি করতে পারেন। আমলকি কেটে টুকরো টুকরো করে এর উপরে কিছুটা লবণ ও মরিচ ছিটিয়ে দিন। চাইলে নিজের পছন্দমতো আরও মশলা যুক্ত করতে পারেন। এবার এটি কয়েক দিনের জন্য সূর্যের আলোতে শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে এগুলো এয়ারটাইট জারে সংরক্ষণ করতে পারেন।
ব্রণের কারণে ত্বকের লাবণ্যতা হারিয়ে যাচ্ছে? ব্রণ কমাতে এবং ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করার জন্য প্রতিদিন আমলকির রস পান করুন। এই ফলে অ্যান্টি-এজিং প্রোপার্টিও রয়েছে যা ত্বকের লাবণ্যতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
বর্তমান মহামারীর সময়ে, যেখানে আমরা সবাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে চাইছি, সেক্ষেত্রে আমলকি একটি যাদুকরী ভূমিকা রাখতে পারে। এর অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যাসিরিঞ্জ্যান্ট বৈশিষ্ট্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে প্রধান ভূমিকা পালন করে।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
আমলকিতে ক্যারোটিনের উপস্থিতি চোখের স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি করতে পারে। এটি ঘন ঘন চোখের লালচে ভাব, জ্বালা এবং চোখ দিয়ে পানি পরা কমাতে সহায়তা করে।
ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়
জয়েন্টে ব্যথা থেকে মুখের আলসার পর্যন্ত সবরকম ব্যথা নিরাময় করতে আমলকি কাজ করে। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে যা ব্যথার জন্য প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে কাজ করে। মুখের আলসার থেকে মুক্তি পেতে আমলকীর রস পানিতে মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে ভালোভাবে গার্গল করুন।
ওজন কমায়
আমলকি ওজন কমাতে সাহায্য করে। আমলকির রস শরীরে জমে থাকা ফ্যাট কমায়। শরীরচর্চার পাশাপাশি আমলকির রস খেলে সহজেই ওজন কমানো সম্ভব। তাই রস, ক্যান্ডি বা আচার- যা-ই হোক না কেন, আপনার পছন্দ অনুযায়ী আমলকি খেতে পারেন। শরীরের উপকারের জন্য এটি প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখুন।