পতনের বাজারে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকে পড়ছেন ‘জেড’ ক্যাটেগরির শেয়ারে। বাজার ভালো থাকায় তলানিতে ছিল এ শেয়ারের চাহিদা। সম্প্রতি বাজার চিত্র বদলে যাওয়ায় এ ধরনের শেয়ারে ঝুঁকেছেন বিনিয়োগকারীরা। গতকালও ৩৬ শতাংশের বেশি বিনিয়োগকারীর চাহিদা দেখা গেছে ‘জেড’ ক্যাটেগরির শেয়ারে।
এদিকে বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আগের কার্যদিবসের মতো গতাকালও কমেছে সূচক। দিন শেষে ৩৫ পয়েন্ট সূচক কমে সূচকের অবস্থান দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ৫৬৪ পয়েন্টে। একইভাবে কমে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট এবং শেয়ারদর।
খাতভিত্তিক লেনদেনে চোখ রাখলে দেখা যায়, মোট লেনদেনে ১০ শতাংশের বেশি অবদান দেখা যায় মাত্র দুটি খাতের। এর মধ্যে এগিয়ে ছিল বিবিধ খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখা যায় ২০ শতাংশের বেশি। পরের অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের অবদান দেখা যায় ১২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এছাড়া ইন্স্যুরেন্স, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং খাদ্য খাত মোট লেনদেনে ৯ শতাংশের বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হয়।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে আগের তুলনায় লেনদেন কমে গেছে। দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭০২ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে এখানে মোট লেনদেন হয়েছিল ৭১৮ কোটি টাকা। অন্যদিকে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের মধ্যে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা লেনদেন হয় ব্লক মার্কেটে।
এ মার্কেটে মোট ১৯টি কোম্পানির অংশগ্রহণ করে। লেনদেনে হয় মোট ২৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩৮টি শেয়ার। এসব কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি তিন কোটি ২৫ লাখ ২৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুই কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার টাকার লাফার্জহোলসিমের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ দুই কোটি ৬০ লাখ ৭৫ হাজার টাকার শেয়াার লেনদেন হয়েছে রেনেটার। এছাড়া ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর এক কোটি ৬৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ৪০ লাখ ৩০ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর সাত লাখ ৪৪ হাজার টাকার, জেনেক্সের ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকার, মুন্নু সিরামিক সাত লাখ ৩৬ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলসের ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।