মোবাইল ফিন্যান্সিল সার্ভিস কোম্পানি শিওর ক্যাশের সাংগঠনিক পুনর্গঠনের নামে শতাধিক কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে গত বছরের এপ্রিল মাসে প্রায় দুইশ কর্মীকে ছাঁটাই করে প্রতিষ্ঠানটি।
এখন থেকে শিওর ক্যাশের এমএফএস সেবা পরিচালনা করবে মূল প্রতিষ্ঠান প্রগতি সিস্টেম লিমিটেড।
তবে এবার কর্মী ছাঁটাইয়ের জন্য ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে শিওর ক্যাশ। তারা বলছে, শিওর ক্যাশের মূল প্রতিষ্ঠান গ্রগতি সিস্টেমের সাংগঠনিক পুনর্গঠনের কারণে শিওর ক্যাশের প্রায় ১০০টি পদ অকার্যকর করা হয়েছে।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) রাতে প্রগতি সিস্টেম থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রগতি সিস্টেম বলছে, ব্যবসায়িক অবস্থার পরিবর্তনের কারণে আর্থিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান প্রগতি সিস্টেমস লিমিটেড (পিএসএল) পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১০০টি পদ অকার্যকর করা হয়েছে।
এ পুনর্গঠনে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মকর্তারা তাদের চুক্তি অনুসারে সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ পাবে। প্রগতি সিস্টেম লিমিটেড ভবিষ্যতে চাকরির ক্ষেত্রে এ কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার দেবে। এছাড়াও, সংস্থাটি ক্ষতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের ভবিষ্যতে যে কোনোও সম্ভাব্য কর্মসংস্থানের জন্য সহায়তা দেবে।
পিএসএল একটি সফটওয়ার কোম্পানি এবং একটি পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর যেটি চারটি ব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে তাদের এমএফএস অপারেশন চালাতে সাহায্য করছে। কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে যে, বিদ্যমান গ্রাহক ও পার্টনারদের সেবাদান স্বাভাবিকভাবে অব্যাহত থাকবে।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে শিওর ক্যাশের মার্কেটিং কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান মাশরুর হাসান মীম বলেন, শিওর ক্যাশের কার্যক্রমের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। চুক্তিবদ্ধ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা অব্যহত থাকবে। শিওর ক্যাশের সাংগঠনিক পুনর্গঠনের কারণে প্রায় ১০০ কর্মীর পদ অকার্যকর করা হয়েছে।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল, ২০২০ প্রতিষ্ঠানটি প্রথম ধাপে ঢাকা অফিসে কর্মরত প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা শামীমা আহসান, ন্যাশনাল সেলস ডিপার্টমেন্টের কয়েকজন বিভাগীয় প্রধানসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত ২০০ জনের মতো কর্মীকে ছাঁটাই করেছে শিওর ক্যাশ। এসব কর্মীদের অধিকাংশই বিক্রয় ও বিপণন এবং ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগে কাজ করতেন। এছাড়াও প্রধান কার্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের কর্মীও রয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে আরও কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
শিওর ক্যাশের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের চাকরিচ্যুত এক কর্মী বলেন, আমাদের পারফরমেন্স ভালো ছিল। মানবসম্পদ বিভাগ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যবসা মন্দা। এই মুহূর্তে এত জনবল প্রয়োজন নেই। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আপনাদের ডাকা হবে।