সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে এবং বিদেশে অর্থপাচার বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন দুই আইনজীবী।
আজ সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান এবং সুবীর নন্দী দাস এই রিট করেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেলসহ ১৫ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আবেদনটির ওপর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।
রিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সংশ্লিষ্ট ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ডের সুইস ব্যাংকে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এ তথ্যের সপক্ষে দেশ-বিদেশের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত বেশকিছু প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়। এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী সে দেশের ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা রাখা অর্থের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। ২০১৭ সালে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার থেকে অর্থ পাচার রোধে যথেষ্ট পদক্ষেপ না থাকার ফলেই সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ বাড়ছে। সুইস ব্যাংকগুলোতে সারা বিশ্ব থেকেই বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ রাখা হয় বলে দুর্নাম রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) তথ্য অনুযায়ী, ওভার ইনভয়েসিং বা আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং হচ্ছে। এছাড়া প্রবাসীরা যারা বিদেশে কাজ করেন তাদের অনেকেই সেখানে আয় করে সুইস ব্যাংকগুলোতে জমা রাখছেন। সব অর্থই যে দেশ থেকে গেছে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।