টিকটকের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে যে, চীনের মালিকানাধীন টিকটক অ্যাপ স্থানীয় আইন অনুসায়ী তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে।
দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, টিকটক অ্যাপে অশ্লীলতা এবং অনৈতিকতা ছড়ানোর সাথে জড়িত সব অ্যাকাউন্টকে ব্লক করে দেয়া হবে।
টিকটক কয়েকটি দেশে বাধার মুখোমুখি হয়েছে এবং ভারতে টিকিটকের বিশাল বাজার ছিল। বেইজিংয়ের সাথে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে জুনের শেষদিকে নয়াদিল্লির কর্তৃপক্ষ চীনা মালিকানাধীন পরিষেবাগুলো নিষিদ্ধ করে দেয়।
টিকটক পাকিস্তানে প্রায় ৪৩ মিলিয়ন ইনস্টল করা হয়েছে। গবেষণা সংস্থা সেন্সর টওয়ারের মতে, এটি দেশটিকে একটি বৃহত্তম বাজারে পরিণত করেছে।
টিকটকের একজন মুখপাত্র ৎবিবৃতিতে বলেছেন, পাকিস্তানে টিকটক অ্যাপটি পুনরায় চালু হয়েছে এবং আমরা নিরাপদ পরিবেশে পাকিস্তানি সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা আমদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব।টিকটক আসার অনেক আগে থেকেই পাকিস্তান তাদের ইন্টারনেটের উপর নিয়ন্ত্রণ নেয়া শুরু করেছিল। ইসলামবিরোধী একটি শর্ট ফিল্ম পোস্ট হওয়ার পরে ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে ইউটিউব নিষিদ্ধ ছিল।
পাকিস্তানে ২০১৬ সালে ইন্টারনেটে বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি বিতর্কিত সাইবার সিকিউরিটি আইন করেছে।