সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের দুই কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।
এ দিন লেনদেনের শুরু থেকেই শেয়ারবাজারে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যায়। লেনদেন শুরু হওয়ার আগেই ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে গেলেও, এক ঘণ্টার মধ্যে ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূচকের পতনের মাত্রা। সেই সঙ্গে পতনের খাতায় নাম লেখায় একের পর এক প্রতিষ্ঠান।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৭৬টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ২০২টির। আর ৮১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হওয়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আগের দিনের তুলনায় ২৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৮৯ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক দশমিক ৪১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্য সূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৮৫ কোটি ২২ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ৪৫৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এই হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১২৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৩০ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মার ১৫২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১০২ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে ডিএসইতে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- রবি, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, সামিট পাওয়ার, জিবিবি পাওয়ার, সিটি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক এবং পাওয়ার গ্রিড।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১০৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৫৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৬টির এবং ৪৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।