নেত্রকোণায় এক ইমামের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ছয় লাখ পাওয়া গেছে। যা তার নয় বলে ব্যাংকে ফেরত দিয়েছেন তিনি।
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের বাসিন্দা হোসাইন আহমেদ ওই জেলার দিরাই উপজেলার শ্যামারচর বাজার জামে মসজিদের ইমাম।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের নেত্রকোণার খালিয়াজুরী শাখায় হোসাইন আহমেদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা থাকা পাঁচ লাখ ৮১ হাজার ২৬৮ টাকা তার নয় বলে জানিয়ে তিনি তা ব্যাংকে ফেরত দেন।
সোমবার ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক তাপস মঞ্জুসা দেব রায় জানান, ব্যাংকে হোসাইন আহমেদের নামে একটি সঞ্চয়ী হিসাব রয়েছে। এ হিসাব থেকে ২০১৮ সালে সর্বশেষ টাকা তোলা হয়েছিল।
তিনি বলেন, গত রোববার গ্রাহক হোসাইন আহমেদ টাকা তুলতে ব্যাংকে এসে হিসাবে কত টাকা জমা আছে জানতে চান। এ সময় তার অ্যাকাউন্টে ৫ লাখ ৯১ হাজার ২৬৮ টাকা থাকার কথা জানার এক ব্যাংক কর্মকর্তা।
হোসাইন এই টাকার মধ্যে মাত্র ১০ হাজার টাকা তার জানালে ব্যাংকের কর্মকর্তারা ভালোভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন বলে জানান তিনি।
“এ অবস্থায় গ্রাহক হোসাইন আহমেদ তার হিসাব থেকে ১০ হাজার টাকার বেশি টাকা নিতে অস্বীকার করেন। পরে তিনি তার হিসাব থেকে ৫ লাখ ৮১ হাজার ২৬৮ টাকা ব্যাংকে ফেরত দেন।”
ব্যাংকের হিসাবগুলো ডিজিটাল করার সময় হয়তো ভুল হয়েছিল বলে মনে করছেন এ ব্যাংকের ম্যানেজার।
“আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে সঠিক মালিক না পেয়ে ব্যাংক নিয়মানুযায়ী ওই টাকা অতিরিক্ত হিসাবে রাখা হয়েছে।”
এ বিষয়ে হোসাইন আহমদ বলেন, “আমার অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা আছে। বাকি টাকা আমার না। ভুল করে আসা ৫ লাখ ৮১ হাজার ২৬৮ টাকা ব্যাংকে ফেরত দিয়েছি।
“টাকার সঠিক মালিককে খুঁজে তার অ্যাকাউন্টে ওই টাকা হস্তান্তর করার জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে বলেছি।
“যেহেতু টাকাটা আমার না তাই এ টাকার প্রতি আমার হক নেই। এ কারণেই আমার সুযোগ হলেও টাকাটা নিইনি আমি।”