টানা ঊর্ধ্বগতিতে প্রায় ২ বছরের আগের অবস্থানে পৌঁছেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক। সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইএক্সে যোগ হয়েছে ২৮৭ পয়েন্ট। এক সপ্তাহেই বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার কোটি টাকা।
আগের সপ্তাহের এক কার্যদিবসে ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড গড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন ও সূচকের চাঙাভাব ছিল বিদায়ী সপ্তাহেও। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেন ছাড়ায় দেড় হাজার কোটি টাকা। প্রধান সূচক বাড়ে ১৩ পয়েন্ট। লেনদেন তারপরের কার্যদিবসগুলোতেও ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে। বুধ ও বৃহস্পতিবার হাতবদল হয় যথাক্রমে ২১০৮ ও ২০৭১ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড।
বুধবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণ খোঁজার নির্দেশনা স্থগিতে পরদিন বৃহস্পতিবার ডিএসইএক্সে যোগ হয় ১৩৯ পয়েন্ট। এতে সূচকটি পৌঁছায় ৫ হাজার ৯০৯ পয়েন্টে। এর আগে ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি ডিএসইএক্স ছিল ৫ হাজার ৯২৪ পয়েন্ট । গত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন হয়, এক হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। সপ্তাহ ব্যবধানে শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫৭।
আর বাছাইসূচক ডিএসই৩০ বেড়েছে ১৮৮ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহে দর বাড়ার শীর্ষ ৫ প্রতিষ্ঠান ছিল-
রবি আজিয়াটা, বেক্সিমকো, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, বিএসআরএম
অন্যদিকে দাম হারানো প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল-
জিল বাংলা সুগার, ন্যাশনাল পলিমার, ক্রিস্টাল ইন্সুরেন্স, এডিএন টেলিকম, পিপলস ইন্সুরেন্স ।
গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হওয়া ৩৬৪ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৬টির, কমেছে ১৬৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫০টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ।