ঢাকা শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
আগামি বাজেটে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর থাকছে
  • ব্যাংকবীমাবিডি
  • ২০২১-০১-১২ ২০:৩০:১৭

করোনা মহামারির কারণে বড় অংকের ঘাটতি বাজেট দিতে হচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়কে। এই ঘাটতির মধ্যে ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা পূরণ করা হবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। অভ্যন্তরীণ উৎস বলতে বোঝায়, ব্যাংক ঋণ ও সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে নেওয়া ঋণ। আগামি বাজেটের ঘাটতি মোকাবেলায় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে সরকার জনগণের কাছ থেকে ঋণ নেবে ৩০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এই ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২০ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছরে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা।

এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেই (জুলাই-নভেম্বর ২০২০) এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে ফেলেছে সরকার। এখনো সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে সরকারের ঋণগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। এর অর্থ হলো, সরকার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণেই ঋণ নেবে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে।

সঞ্চয়পত্রের বাইরে বাকি ৯৩ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে ব্যাংক থেকে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে এ খাতে ঋণ নেয়ার লক্ষ্য রয়েছে ৮৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে বৈদেশিক উৎস থেকে নিট ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৪ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা।

আগামী অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি জিডিপি’র ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। আগামী বাজেটে এটি জিডিপি’র ৫ দশমিক ৮ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে। নতুন বাজেটে অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ প্রাক্কলন করা হয়েছে দুই লাখ সাত হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে নতুন বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ১৭ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা বাড়ছে।

চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নিট ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নিট ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৮৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা। অন্য দিকে বৈদেশিক উৎস থেকে নিট ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৭৬ হাজার চার কোটি টাকা।

বিগত কয়েক বছরের বাজেট ঘাটতি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। ঘাটতির পরিমাণ ছিল এক লাখ ৪১ হাজার ২১২ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। মূল বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ ছিল এক লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেটের বিপরীতে ঘাটতির পরিমাণ ছিল এক লাখ ১২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল তিন লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। ঘাটতি ছিল ৬৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। সে বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৬৫ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা।

৩১ মার্চ থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রাহকরা
বেলা ৩টার পর আড্ডা দিতে কর্মীদের অর্থ প্রদান
রিটার্ন জমার সময় দুই মাস বাড়ল