২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ১০০টি দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। নতুন এই বছরে ক্ষমতাশালী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ৮১–তে। সম্প্রতি ১৯০টি দেশ নিয়ে করা মার্কিন সিইওওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনের এক তালিকায় বাংলাদেশের এ অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে করা ওই জরিপে বাংলাদেশের স্কোর ৬১ দশমিক ৬৭।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এ তালিকায় বাংলাদেশের আগে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।
তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অর্থাৎ ২০২১ সালেও ক্ষমতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের স্কোর হচ্ছে ৯৮ দশমিক ০৯। সিইওওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নানা কারণে শক্তিক্ষয় হলেও ২০২১ সালেও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিসেবে থাকবে। সেই সঙ্গে চলচ্চিত্র, সংগীত, বই ও টিভি শোর কারণে সারা বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক প্রভাবও কম নয়।
বিদায়ী বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের শুরুটা বেশ চমৎকার ছিল। বেকারত্বের হার কমে নেমেছিল ঐতিহাসিক পর্যায়ে। তবে করোনা সব ওলট–পালট করে দেয়। এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯–এর কারণে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তাহলে কীভাবে এখনো শীর্ষে থাকে দেশটি। এ বিষয়ে সিইওওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনের যুক্তি হলো কোভিডের ধাক্কায় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকোচন হলেও সামরিক শক্তির জেরে তারা সবচেয়ে এগিয়ে আছে। সে কারণেই তারা এখনো শীর্ষে। তবে অর্থনৈতিক সংকোচন সত্ত্বেও মার্কিন অর্থনীতি শক্তিশালী, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশটির শক্তিশালী নেতৃত্ব—এসব মিলে যুক্তরাষ্ট্র এখনো শীর্ষ দেশ। এর সঙ্গে আছে তার সাংস্কৃতিক প্রভাব।
কেউ কেউ মনে করেন, জাতির শক্তি হলো তার রাজনৈতিক শক্তি। আবার কারও কারও মতো হলো শক্তিশালী সামরিক ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থাই জাতির শক্তির বড় নিদর্শন। সিইওওয়ার্ল্ড অবশ্য শক্তিমত্তার সাতটি দিক নির্বাচন করেছে। সেগুলো হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক প্রভাব, প্রতিরক্ষা বাজেট, অস্ত্রভান্ডার, বৈশ্বিক জোট, কূটনৈতিক ক্ষমতা ও সামরিক শক্তি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই হচ্ছে চীন ও রাশিয়ার অবস্থান। দেশ দুটির স্কোর যথাক্রমে ৯৪ দশমিক ২৯ ও ৯৪ দশমিক ১১। এরপর ৯৩ দশমিক ৬২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে ভারত। এরপর যথাক্রমে আছে ফ্রান্স ও জার্মানি। সপ্তম স্থানে আছে জাপান, অষ্টমে আছে যুক্তরাজ্য। নবম স্থানে দক্ষিণ কোরিয়া আর দশম স্থানে আছে ইসরায়েল। আর তালিকার সবার শেষে আছে স্লোভেনিয়া, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া ও স্লোভাকিয়া।
১৯০টি দেশ নিয়ে এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়েছে। যে সাতটি ক্যাটাগরির ভিত্তিতে এই র্যাঙ্কিং করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আবার ৬০টি সূচক প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রতিটি সূচককে আবার ১ থেকে ১০০-এর মধ্যে সাজানো হয়েছে। এই সূচকগুলোর মধ্যে আবার কিছু উপসূচকও আছে। ১৯ অক্টোবর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সিইওওয়ার্ল্ড সাময়িকী গ্লোবাল বিজনেস পলিসি ইনস্টিটিউটের সঙ্গে এই জরিপ পরিচালনা করেছে।