একজন ব্যাংক কর্মকর্তার নেতৃত্বে রাজশাহীতেও গড়ে উঠেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস চক্র। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এ চক্রের তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। এরা অন্তত ৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে সিআইডি জানিয়েছে।
গত বুধবার রাতে রাজশাহীর বিনোদপুরের ভাড়া বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সিআইডির ঢাকাস্থ দলের অভিযানে রাজশাহী মেট্রোপলিটন সিআইডি সহায়তা করে। ঢাকায় গ্রেফতার তিন জনের তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহীতে মানিকের সন্ধান পায় সিআইডি। ঢাকায় গ্রেফতার তিন জন হলেন জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার রকিবুল হাসান শান্ত (২৫) এবং তার সহযোগী রাশেদুজ্জামান সজীব (৩৬) ও হাসান মাহমুদ (২২)। এরা প্রত্যেকে বিপুল সম্পদের মালিক।
রাজশাহীর কেশরহাট পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ বলেন, মানিক কুমার প্রামাণিক এলাকার ছেলে। এমনিতে খুব ভদ্র। দেখা হলে সালাম দেয়। কিন্তু কার ভেতরে যে কী, তা তো জানি না। কেশরহাট বাজারে মানিকের বাবা রতন কুমার দুলালের মুদি দোকান ছিল। রতনের মৃত্যুর পর তার আরেক ছেলে হীরা দোকানটা চালাতেন। এখন তারা দোকান চালান না। হীরা এখন জায়গা-জমি দেখাশোনা করেন। আর দোকানটা এক চাচাতো ভাইকে দিয়েছেন। মানিকের অগ্রণী ব্যাংকে চাকরি হয়েছে ২০১২ সালে। তার আরেক ভাই মুক্তা চিকিত্সক।
সিআইডির রাজশাহীর পরিদর্শক আনিসুর রহমান বলেন, বিনোদপুরে মানিকসহ তিন জনকে গ্রেফতারের পর রাতেই তার গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তিন বছরে সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাড়িটা বানানো হয়েছে। বাড়িতে মানিকের ৫০ লাখ টাকা মূল্যের গাড়িও পাওয়া গেছে। বাড়িতে ব্যাংকের ১০-১২টা চেক বই পাওয়া গেছে। একটা ল্যাপটপ এবং চারটা ডায়েরিও জব্দ করা হয়েছে। ল্যাপটপে প্রশ্নপত্র বিক্রির হিসাব রয়েছে।