আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৫০০ কোটি টাকার মুদারাবা পারপিচুয়াল বন্ড ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ‘এআইবিএল মুদারাবা পারপিচুয়াল বন্ড’ নামে ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়বে। ব্যাংকের ব্যাসেল-৩ এর অধীন মূলধন শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে বন্ডটি ইস্যু করবে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ২৮ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ১৩ পয়সা। ২০১৯ সালে মোট মুনাফা করে ২৪২ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২২ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২২ টাকা ২০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির পাঁচ লাখ ৫১ হাজার ৮০৬টি শেয়ার মোট ২২৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ২১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। আর দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২১ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২২ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ২৪ টাকায় ওঠানামা করে।
২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ ও দুই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে দুই টাকা ৩৫ পয়সা আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৮০ পয়সা। ওই সময় মোট মুনাফা করেছে ২৪৪ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
ব্যাংক খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৯৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১০৬ কোটি ৪৯ লাখ দুই হাজার ১৮৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪১ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ২১ দশমিক ৪২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ৯ দশমিক ৭৪ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১২ দশমিক ৩৩।
এদিকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এ কোম্পানিটি। তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২৭ পয়সা (লোকসান)। আর প্রথম তিন প্রান্তিক বা ৯ মাস (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২০) শেষে শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে এক টাকা ৩৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২৪ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ১৮ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে ছিল ২১ টাকা ১৩ পয়সা। আর তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২০) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে চার টাকা ২১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ১০ টাকা ৭২ পয়সা ছিল।