ঢাকা বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
ব্যাংকগুলো শাখা খোলার পরিবর্তে ডিজিটাল মাধ্যমকে গুরুত্ব দিচ্ছে
  • ব্যাংকবীমাবিডি
  • ২০২৪-০২-২২ ২১:১২:৩৪

বাংলাদেশে কার্যরত বিদেশি ব্যাংকগুলো অনেক আগেই নতুন শাখা খোলা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। এখন স্থানীয় ব্যাংকগুলোও একই পথে হাঁটছে। এর কারণ হলো, ব্যাংকগুলো সেবা দেওয়ার জন্য শাখার পরিবর্তে এখন ডিজিটাল মাধ্যমকে বেছে নিচ্ছে। ফলে ব্যাংক সেবার অবকাঠামো বদলে যাচ্ছে।

অনেক ভালো ব্যাংকও ২০২৩ সালে নতুন কোনো শাখা খোলেনি। তবে সেবা ও গ্রাহক বাড়াতে তারা অ্যাপসনির্ভর সেবা ও নতুন ডিজিটাল অবকাঠামো চালু করে চলেছে। যেমন এসব ব্যাংক নগদ টাকা জমা ও উত্তোলনের জন্য এটিএমের পরিবর্তে নতুন ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিন (সিআরএম) বসিয়েছে। এটাকেই বর্তমানে সঠিক পথ বলে মনে করছেন ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ব্যাংকগুলোর শাখা বেড়েছে ১৪৩টি। এর আগে ২০২২ সালে ২০০টি ও ২০২১ সালে ২৬৮টি নতুন শাখা খোলা হয়েছিল। এর আগে ২০২০ সালে করোনার প্রকোপের কারণে শাখা খোলা হয়েছিল ১০৩টি। ফলে ব্যাংকগুলোতে নতুন জনবল নিয়োগ কমে গেছে। গত বছর যেসব ব্যাংক শাখা খুলেছে, তার বেশির ভাগই চতুর্থ প্রজন্মের, অর্থাৎ নতুন ব্যাংক। পাশাপাশি তারল্য সংকটে পড়া কিছু ব্যাংক অবশ্য শাখা-উপশাখা বাড়িয়ে আমানত টানার চেষ্টা করছে।

ব্যাংকাররা বলছেন, গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর জন্য এখন শাখা খোলার প্রয়োজনীয়তা কমে গেছে। গ্রাহকেরা ঘরে বসেই অ্যাপসের মাধ্যমে সেবা নিতে পারছেন। নগদ টাকার প্রয়োজন হলে কার্ডের মাধ্যমে যেকোনো ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তুলতে পারছেন। শাখার পেছনে যে খরচ হয়, এসব মাধ্যমে সেবা দিলে ব্যাংকগুলোর খরচও বেশ কম হয়। সব মিলিয়ে সামনের দিনে শাখা খোলা আরও কমবে। তখন নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে বিভিন্ন এলাকায় উপশাখা, সিআরএম যন্ত্র স্থাপনে জোর দেবে ব্যাংকগুলো।

ব্যাংকগুলো এখন শাখার পাশাপাশি উপশাখা, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হিসাব খোলা, নগদ টাকা জমা ও উত্তোলন, ঋণসহ অন্যান্য সেবা দিচ্ছে। সেই সঙ্গে কার্ডের মাধ্যমে নগদ টাকা জমা ও উত্তোলন করা যাচ্ছে এটিএম ও সিআরএম যন্ত্রে। এ ছাড়া অনলাইন ব্যাংকিং ও অ্যাপসের মাধ্যমেও অনেক গ্রাহক এখন ব্যাংকিং লেনদেন করছেন।

প্রতিটি ব্যাংক ২০২৩ সালে ডিজিটাল পণ্য চালু করেছে। কোনো কোনো ব্যাংক অ্যাপসের মাধ্যমে ঘরে বসে হিসাব খোলা, আমানত জমা, ঋণ প্রস্তাব জমা দেওয়ার সেবা চালু করেছে। ঋণপত্র (এলসি) খোলার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে কিছু ব্যাংক। এটিএমের পাশাপাশি সিআরএম যন্ত্রে ঝুঁকছে ব্যাংকগুলো। কারণ, এতে এক যন্ত্রেই টাকা জমা ও উত্তোলন সুবিধা মিলছে। ইতিমধ্যে পূবালী, ঢাকা, সিটি, ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংক এটিএম বুথকে সিআরএম বুথে পরিণত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ জন্য সব ব্যাংক ধীরে ধীরে বন্ধ করে দিচ্ছে ক্যাশ ডিপোজিট যন্ত্র (সিডিএম)।

২০২২ সালে দেশে এটিএম ছিল ১৩ হাজার ৩৬৭টি, যা ২০২৩ সালের শেষে বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার ৪৩৬। একই সময়ে সিআরএম যন্ত্র ২ হাজার ৪৮৯ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৩৫টি। সিডিএম যন্ত্র ২০২২ সালে ছিল ১ হাজার ৯৪টি, যা গত বছরের শেষে দাঁড়িয়েছে ২৬৩। গ্রাহকেরা এক ব্যাংকের কার্ড দিয়ে অন্য ব্যাংকের যন্ত্রে টাকা জমা করা ও উত্তোলনের সেবা নিতে পারছেন

সাউথইস্ট ব্যাংকে গ্রাহকের মতবিনিময় সভা
ব্যাংকগুলো শাখা খোলার পরিবর্তে ডিজিটাল মাধ্যমকে গুরুত্ব দিচ্ছে
আইএফআইসি ব্যাংক থেকে গ্রাহকের ২০ লাখ টাকা ছিনতাই, ২ পুলিশ গ্রেপ্তার