করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে বেড়েছে ইন্টারনেট ভিত্তিক বা অনলাইন ব্যাংকিং। এপ্রিল থেকে অক্টোবর এই সাত মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা লেনদেন বেড়েছে। ২০২০ সালের এই সাত মাসে ইন্টারনেট ব্যাংকিং এ লেনদেন হয়েছে ৪৩ হাজার ৯৬৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে একই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ ছিলো ৩৯ হাজার ৯৭৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যাংকিংকে বেছে নিচ্ছেন গ্রাহকরা। এতে ব্যাংকের এই সেবায় লেনদেন বেড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে ২৬ লাখ ৮৭ হাজার ৩০৪ জন গ্রাহক ১৮ লাখ ২০ হাজার ৯২ বার ইন্টারনেট ভিত্তিক লেনদেন করেন। এতে ৪ হাজার ৬৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা লেনদেন হয়। মে মাসে ২৭ লাখ ২২ হাজার ৩২৭ জন গ্রাহক ২০ লাখ ৫৪ হাজার ৬১২ বার লেনদেন করেছেন যাতে ৫ হাজার ৫৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেন হয়। জুনে ২৭ লাখ ৪২ হাজার ২৪১ জনের ২২ লাখ ৬ হাজার ৮১৯ বারে ৭ হাজার ৪২১ কোটি ১০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।
জুলাই মাসে ২৮ লাখ ৪১ হাজার ৭১৪ গ্রাহকের ২২ লাখ ৬৪ হাজার ৯২৭ বার লেনদেনে ৬ হাজার ২৫৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা লেনদেন হয়। আগস্টে ২৯ লাখ ২০ হাজার ৯৩৩ গ্রাহক ২০ লাখ ২৮ হাজার ৯১৬ বারে লেনদেন করেন ৬ হাজার ৮০০ কোটি ১০ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বরে ৩০ লাখ ১৪ হাজার ৪১৯ জন গ্রাহক ২০ লাখ ৭১ হাজার ৫০৪ বারে লেনদেন করেন ৭ হাজার ৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অক্টোবর মাসে ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ২৫৪ জন গ্রাহক ২১ লাখ ২৩ হাজার ২৬৫ বার লেনদেন করেন। এতে লেনদেন হয় ৬ হাজার ২৮৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং: ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন সাধারণ ব্যাংকিং কার্যক্রমকেই ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিং বলে। এক্ষেত্রে ইন্টারনেটে যুক্ত হয়ে ব্যাংকের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একজন গ্রাহক তার ব্যাংক একাউন্টে প্রবেশ করেন। একাউন্টে প্রবেশের জন্য ব্যাংক গ্রাহককে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমেও গ্রাহকরা হিসাব খোলা, পরিবর্তন বা স্থানান্তর, বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, এটিএম ও শাখার লোকেশন, মিনি ও বিস্তারিত স্টেটমেন্ট, লেনদেনের সার্বিক বিবরণী, ঋণসংক্রান্ত তথ্য, ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধসহ অন্যান্য কাজ করতে পারেন।