গভর্নমেন্ট ই-ট্রানজেকশন প্রসেসিং হাব (জিইটিপিএইচ) সফটওয়্যার উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা ও পেনশন, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিধবা, বয়স্ক, পঙ্গুত্ব, প্রতিবন্ধী ইত্যাদি ভাতা, বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিল, জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও মূলধন, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও উপবৃত্তির অর্থ ইএফটির মাধ্যমে জিটুপি পদ্ধতিতে সরাসরি উপকারভোগীর হিসাবে জমা হয়ে যাবে। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সবসময় যুগের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে। অটোমেশনের মাধ্যমে ‘সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ’ কর্মসূচিকে আরও বেগবান করতে গভর্নমেন্ট ই-ট্রানজেকশন প্রসেসিং সফটওয়্যারটি যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি অর্থ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। সরকারি বিভিন্ন সেবা স্বল্প সময়ে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেয়াই হলো ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম লক্ষ্য। আগে বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতা ব্যক্তির কাছে পৌঁছাতে তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগতো। কিন্তু ইএফটির মাধ্যমে এখন তা মুহূর্তে পৌঁছে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন এ সফটওয়্যারটির মাধ্যমে এ সেবা এখন আরও দ্রুততর হবে। এর ফলে সময় যেমন বাঁচবে, একই সঙ্গে সরকারের খরচও কমবে। যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের পেমেন্ট গেটওয়ে, তাই প্রতিষ্ঠানটি অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সরকারের ব্যয় হ্রাস করার কৃতিত্বের অন্যতম দাবিদার।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সমন্বয়ের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। বর্তমান সময়ে এ সমন্বয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক নিজস্ব লোকবল দ্বারা উদ্ভাবিত ১২৯টি সফটওয়্যারের মধ্যে ১২৪টি বর্তমানে কার্যকর রয়েছে। তৃতীয় পক্ষ থেকে কেনা ১০টি সফটওয়্যারের বিকল্প নিয়েও বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি টিম কাজ করছে। সর্বোপরি আর্থিক খাতের আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক, মতিঝিল অফিসের উদ্যোগে প্রস্তুতকৃত জিইটিপিএইচ সফটওয়্যারের সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনাকে সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে পরিচালনার জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যা জাতীয় পর্যায়ে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার অক্ষুণ্ণ রেখেছে।