ভয়েস অব আমেরিকা: বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় গবেষণা সংস্থার তথ্য মোতাবেক বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে প্রতিবছর গড়ে ১ হাজার কোটি ডলার অর্থ বিদেশে অবৈধভাবে পাচার হয়ে যাচ্ছে। আর এ নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় গবেষণা সংস্থার তথ্য মোতাবেক বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে প্রতিবছর গড়ে ১ হাজার কোটি ডলার অর্থ বিদেশে অবৈধভাবে পাচার হয়ে যাচ্ছে। আর এ নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন।
জাতিসংঘের সংস্থা আঙ্কটাড, ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি বা জিএফআই এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি-সহ অনেক গবেষণা সংস্থা তথ্য দিয়েছে যে, গত ১৫ বছরে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে কমপক্ষে ১২ হাজার কোটি ডলার পাচার হয়ে গেছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিএফআই বলছে, ২০১৫ সালেই বিশ্বব্যাপী অবৈধ অর্থপাচারের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৩০ নম্বরে। গবেষণা সংস্থাগুলো বলছে, গেল কিছুদিনে প্রতিবছরই পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ ২৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। অর্থপাচারের এই বিশাল পরিমাণ দেশের অর্থনীতি এবং উন্নয়নের ওপর প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
অতি-সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, কানাডায় অর্থপাচারের ২৮টি ঘটনার তথ্য পেয়েছের সরকার। আর এতে দেখা যাচ্ছে, সরকার চাকুরিজীবিরাও রয়েছেন ওই তালিকায়।
অর্থপাচারের এই ঊর্ধ্বগতি সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকি ইউনিটসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোও অবহিত। কিছু কিছু ব্যবস্থাও মাঝে-মধ্যে নেয়া হচ্ছে। গবেষণা সংস্থাগুলো বলছে, শুধু কানাডাই নয়- মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়াসহ প্রধানত ১০টি দেশে অর্থপাচার হচ্ছে। পাচারের দেশ হিসেবে সুইজারল্যান্ডে অর্থপাচার গেলো কিছুদিনে সামান্য কমেছে।