প্রাণ আরএফএল গ্রুপের প্রাণ অ্যাগ্রোর জন্য বাংলাদেশে প্রথম গ্রিন বন্ডের ব্যবস্থা করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। এ বন্ডের ফেস ভ্যালু ১৫০ কোটি টাকা (১.৫০ বিলিয়ন)। এ অর্থমূল্য প্রাণ অ্যাগ্রোর গ্রিন ও এনার্জি-এফিসিয়েন্ট উদ্যোগের অর্থায়নে ব্যবহার করা হবে।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এ উপলক্ষে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাসের এজাজ বিজয় এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ফাইন্যান্স ডিরেক্টর উজমা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে সিসিআইবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব ক্লায়েন্ট কভারেজ এনামুল হক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেট মুহিত রহমান এবং হেড অব ফাইন্যান্সিং সল্যুশনস মো. মারুফ উর রহমান মজুমদার এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের কর্পোরেট ফাইন্যান্স ম্যানেজার ফখরুল আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেড এ বন্ড থেকে প্রাপ্ত অর্থ বর্জ্য জল পুনর্ব্যবহার, বর্জ্য পচনের মাধ্যমে জলবায়ুর স্থিতিস্থাপকতা রক্ষা, গ্রামীণ ও দারিদ্র্য-পীড়িত জনগোষ্ঠীর মধ্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই সামাজিক উন্নয়ন গড়ে তোলা, চুক্তিভিত্তিক জৈব চাষের মাধ্যমে জমির উর্বরতা বাড়ানোর মতো অনন্য উদ্যোগের জন্য ব্যবহার করবে। এ বন্ড সম্পাদনে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড লিড অ্যারেঞ্জারের ভূমিকা পালন করছে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাসের এজাজ বিজয় বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতি লক্ষণীয়। বর্তমানে টেকসই উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে রোল মডেল বিবেচনা করা হয়। এই যাত্রায় বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া ‘গ্রিন বন্ড’ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের আরেকটি গৌরবময় মাইলফলক। আমি প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেডকে এই বন্ডের মাধ্যমে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানাই। এটি শুধুমাত্র দেশের প্রথম গ্রিন বন্ডই নয় বরং এটি সাসটেইনেবিলিটির প্রতি প্রাণের প্রতিশ্রুতির একটি উদার দৃষ্টান্ত। প্রফেসর শিবলী রুবায়েত-উল-ইসলামের দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্দেশনায় এই অগ্রণী ভূমিকাটি গ্রহণ সম্ভব হয়েছে। আমরা আশাবাদী, এ বন্ডটি অন্যান্যদের জন্য পথ প্রদর্শক এবং আর্থিক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান বলেন, আমরা সবুজ অর্থায়নের একটি নতুন যুগে প্রবেশ করছি। একটি সবুজ ও টেকসই ভবিষ্যৎ ব্যবসায় ও জনগোষ্ঠীর জন্য নতুন সম্ভাবনাস্বরূপ। এ উদ্যোগে আমাদের সহায়তা করার জন্য আমি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের কাছে কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশে সবুজ অর্থায়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে, তাই আমরা ভবিষ্যতে এর মাধ্যমে আরও অভূতপূর্ব উন্নয়নের জন্য আশাবাদী।
বাংলাদেশসহ এশিয়া, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে ঋণ পুঁজিবাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। ১৯৯৭ সালে থেকে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ফাইন্যান্সিং সলিউশন ইউনিট বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগ, অবকাঠামো, খাদ্য ও পানীয়, টেক্সটাইল, পরিষেবা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে ৭ বিলিয়ন ডলারের সমতুল্য অর্থ ঋণ সুবিধা প্রদান করেছে।