পুঁজিবাজারে নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত বিনিয়োগ করায় রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংককে কারণ দর্শানোর নোটিশ বা শোকজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে।
চিঠিতে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ২৬(ক) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ব্যাংকটিকে কেন জরিমানা করা হবে না, সে বিষয়ে তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, বিদ্যমান নিয়মে কোনো ব্যাংক তার পরিশোধিত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম হিসাবে রক্ষিত স্থিতি, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও পুঞ্জীভূত মুনাফার সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে।
এ বিনিয়োগ হিসাবের ক্ষেত্রে নিজস্ব ও সাবসিডিয়ারি কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগের পাশাপাশি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য গঠিত প্রতিষ্ঠানের ঋণও বিবেচনায় নেওয়া হয়।
সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ২ নভেম্বরের সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (আইসিবি)-এর মাধ্যমে নতুন করে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে সোনালী ব্যাংক। আগে থেকেই এ প্রতিষ্ঠানে ব্যাংকটির বিনিয়োগ আছে এক হাজার কোটি টাকার বেশি। এতে ব্যাংকটির শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের হার ২৬ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
আইসিবিতে বিনিয়োগের কারণে ২০১৭ সালেও সোনালী ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়ে যায়। তখন ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে বিনিয়োগ নির্ধারিত সীমায় নামিয়ে আনার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে চলতি বছরের আগস্টে ব্যাংকটির ৫৫০ কোটি টাকা ফেরত দেয় আইসিবি।
৯ নভেম্বর ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেয়ারবাজারকে চাঙ্গা ও টেকসই করার জন্য আইসিবিতে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে সোনালী ব্যাংক।
সোনালী ব্যাংক তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান সোনালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান আইসিবিকে অর্থায়নের মাধ্যমে শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।