চতুর্থ প্রজন্মের সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের দুজন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ও চারজন শাখা ব্যবস্থাপকসহ মোট ১১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার (৬ অক্টোবর) এসবিএসি সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ব্যাংকের পরিচালকদের মধ্যে পরস্পরবিরোধী দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেলেও এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের পর্ষদ নতুন চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লা।
বুধবার তিনি বলেন, এটি ম্যানেজমেন্টর বিষয়। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। ম্যানেজমেন্ট কাকে বহিষ্কার করবে,কাকে প্রমোশন দেবে,কাকে শাখা দায়িত্ব দেবে এটা তাদের দৈনন্দিন কাজ। কেন বহিষ্কার হয়েছে আমি জানি না। এটা বোর্ডের বিষয় না এটা এমডি-ডিএমডি সাহেবরা জানবেন। এটা আমার জানার কথাও না।
এ বিষয়ে এসবিএসির এমডি ও সিইও মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদের সাথে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয় নাই।
এর আগে এসবিএসির ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা থেকে টানা ৯ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন এসএম আমজাদ হোসেন। ওই সময় আমজাদ হোসেন নামে-বেনামে পরিবার ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে নিজ ব্যাংক থেকেই প্রায় ২৬০ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন। ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নামে-বেনামে নেওয়া এসব অর্থ এখন ফেরত পাচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি।
ব্যাংকিং-সংক্রান্ত যাবতীয় আইন ও রীতিনীতি সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে এসব ঋণ নিয়েছেন তিনি। পরিশোধের সময় পার হলেও খেলাপি হিসেবে এখনও দেখানো হয়নি ওই ঋণ। এছাড়া ব্যাংকটির নতুন চেয়ারম্যান বস্ত্র খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান থার্মেক্স গ্রুপের আবদুল কাদির মোল্লার বিরুদ্ধেও রয়েছে ঋণ অনিয়মের নানা অভিযোগ।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. কামাল উদ্দীন,সফিউদ্দীন আহমেদ, ঋণ প্রশাসন বিভাগের প্রধান (ইভিপি) সালাউদ্দিন আহমেদ, হেড অফ ব্যাংকিং অপারেশন (ইভিপি) এস এম ইকবাল মেহেদি, আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান (ভিপি) এ এন এম মোয়াজ আহমেদ, খুলনা শাখা প্রধান (এফএভি) এনএম আবুল কালাম সিদ্দিক, খুলনা চোকনগর শাখা প্রধান (এভিপি) মো. মনজুরুল আলম, ফকির হাট, খারাবাত বাইনতলা শাখার প্রধান (এসইও) এসএম রবিউল আলম, ফলটিটা শাখার প্রধান (এসইও) মো. নজরুল ইসলাম, খুলনার বৈদেশিক মুদ্রা শাখার এসকে আবুল ফারাহ এবং কাটাখালি শাখা ম্যানেজার অরুপ কুমার শাহা।