সিলেটের ওসমানীনগরে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) এটিএম বুথ ভেঙে ২৪ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন— নূর মোহাম্মদ, শামীম আহমেদ ও আব্দুল হালিম।
ডিবি জানিয়েছে, গ্রেফতাররা ভারতীয় টিভি সিরিজ ‘সিআইডি’ দেখে দুর্ধর্ষ এই ডাকাতির কৌশল শিখেছিলেন। এটিএম বুথ থেকে চুরি করা টাকা জুয়া খেলে তারা খরচ করেছেন।
চক্রটির প্রধান শামীম আহম্মেদের প্রযুক্তি জ্ঞান রয়েছে। তিনি ওমান থেকে বেশ কয়েক বছর আগে দেশে ফেরেন। দেশে এসে তিনি তেমন কোনো কাজ করছিলেন না। তবে নিয়মিত ‘সিআইডি’ দেখতেন। সিআইডি দেখেই অপরাধের পরিকল্পনা করেন তিনি। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী এটিএম বুথ থেকে টাকা লুট করা হয়।
বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, সিসি ক্যামেরায় কালো রঙ স্প্রে করা, মুখমণ্ডলে কাপড় পেঁচিয়ে শাবল দিয়ে বুথ ভাঙা, সবই ‘সিআইডি’ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে করা।
ডিবি বলছে, ১২ সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনায় মোট ২৪ লাখ লুট করা হয়। এর মধ্যে ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। টাকার একটি অংশ দিয়ে তারা জুয়া খেলেছে। এ ঘটনায় জড়িত জহির নামে একজন এখনও পলাতক।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবির সাইবার ইউনিটের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, লুট করা টাকা দিয়ে তারা জুয়া খেলেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের জানিয়েছে। তদন্ত চলছে, সিলেট পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তারা আরও বিস্তারিত তদন্তে তুলে ধরবেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর ভোরে চার সদস্যের মুখোশপরা একদল ডাকাত উপজেলার সাদিপুর ইউপির শেরপুর নতুনবাজারস্থ ইউনুছ ম্যানশনের নিচতলায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের এটিএম বুথে হানা দেয়। এ সময় ডাকাতরা বুথের নিরাপত্তারক্ষীকে হাত-মুখ বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বুথের লকার ভেঙে ২৪ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর ১২ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক শেরপুর শাখার ব্যবস্থাপক সৈয়দ আশরাফুল আমিন বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় একটি মামলা করেন। এ ঘটনার ১০ দিন পর মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে।