আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিতে যাচ্ছে সরকার। এছাড়া ওই দিন থেকেই সীমিত পরিসরে দোকানপাট ও শপিং মল খুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
সোমবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সরকারের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগামী ১৪ জুলাই (বুধবার) পর্যন্ত চলবে কঠোর বিধিনিষেধ। এরপর বিধিনিষেধ থাকবে কি না তা এখনো পরিষ্কার করেনি কোনো কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ঈদ সামনে রেখে গণপরিবহন এবং শপিংমল খোলা রাখার বিষয়ে সরকারের চিন্তাভাবনা রয়েছে।
এ সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এখনো কোনো ফাইল সচিবালয়ে আসেনি। সন্ধ্যা নাগাদ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।
এর আগে রোববার (১১ জুলাই) সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতা আসতে পারে। পশুর হাটে আসার জন্য সীমিত পরিসরে যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। এছাড়া ঈদকে সামনে রেখে খুলে দেওয়া হতে পারে বিপণিবিতানও। আবার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঈদে সবাইকে কর্মস্থলে রাখারও চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।
১৫ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
কুরবানি ঈদের মানুষের চলাচল ও পশুরহাটে কেনাবেচার বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে গণপরিবহণ। খোলা থাকবে শপিংমল ও দোকানপাট।
তবে বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। আর সরকারি অফিসের কার্যক্রম ভার্চুয়ালি চলবে।
করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন আরোপ করে সরকার। পরে সময়সীমা বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়।