শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরের বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে অন্তর্দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে পরিচালনা পর্ষদ। যিনি ব্যক্তিস্বার্থে ব্যাংকটিকে ঝুকিঁর দিকে নিয়ে যাচ্ছেন এবং স্বৈরাচারিভাবে পরিচালনা করছেন। যার প্রতিবাদে ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারন সভা (এজিএম) বয়কট করেছেন ৫ উদ্যোক্তা পরিচালক। যারা গতকাল আয়োজিত ব্যাংকটির এজিএমে অংশগ্রহণ করেননি।
বয়কট করা শেয়ারহোল্ডার পরিচালকেরা হলেন- এমএ কাশেম, আজিম উদ্দিন আহমেদ, জুসনা আরা কাশেম, দুলুমা আহমেদ ও রেহানা রহমান।
ব্যাংকটি ২০২০ সালের ব্যবসায় আর্থিক হিসাব, পর্ষদের ঘোষিত ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশসহ অন্যান্য আলোচ্য বিষয়সমূহ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য গতকাল (৩০ জুন) সকাল ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে এজিএম শুরু হয়।
তবে এতে ৯জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালকের মধ্যে ৫জনই প্রতিবাদস্বরুপ অংশগ্রহন করেন না।
জানা গেছে, ব্যাংকটির চেয়ারম্যান অন্যসব পরিচালকদের পাশ কাটিয়ে বিভিন্ন অযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে ঋণ অনুমোদন করান। বিশেষ সুবিধা নেওয়ার মাধ্যমে এই ঋণ দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ আছে। যেখানে অন্যসব শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদেরকে পরিচালক হিসেবেই গণ্য না করার স্বৈরাচারী মনমানসিকতা তার মধ্যে তৈরী হয়েছে।
ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান পরিচালক এমএ কাশেম বলেন, সাউথইস্ট ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয়েছে আমার হাত ধরে। আমরা ব্যাংকটির প্রকৃত উদ্যোক্তা। কিন্তু ব্যাংকটিকে এখন যেভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে, তাতে খুবই হতাশ এবং উদ্বিগ্ন। যার প্রতিবাদ হিসেবে আমরা এজিএমে অংশগ্রহন করিনি।
সাউথইস্ট ব্যাংকে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির আরেক পরিচালক। তিনি বলেন, এইসব অভিযোগ সমাধানে চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি তা এড়িয়ে গেছেন। যে কারনে এজিএম বয়কট করেছি।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১ হাজার ১৮৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৯.৮২ শতাংশ। কোম্পানিটির বুধবার (৩০ জুন) লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ১৪.৪০ টাকায়।